সুইৎজারল্যান্ডে কার কত টাকা গচ্ছিত আছে ২০১৯ অর্থবর্ষের শেষেই সমস্ত তথ্য হাতে চলে আসবে সরকারের হাতে। ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ নিয়ে সুইস ব্যাঙ্কের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরই শুক্রবার এই দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
সম্প্রতি সুইস ব্যাঙ্ক এ বিষয়ে একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালেওই ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি।এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে গয়াল বলেন, “সমস্ত তথ্য হাতে পেয়ে যাব। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হন, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করবে সরকার। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, কালোটাকা উদ্ধারে সরকার নানা রকম পদক্ষেপ করেছে। তাই এখন বিদেশে টাকা গচ্ছিত রাখতে অনেকেই দু’বার ভাবছেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের জন্যই।
ক্ষমতায় আসার আগে দেশবাসীকে যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান ছিল কালোটাকা উদ্ধার। ২০১৬-য় নোটবন্দি নিয়ে কম বিতর্কের মুখে পড়তে হয়নি মোদী সরকারকে। ঘরে-বাইরে সাঁড়াশি আক্রমণ সামলাতে হয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে, মোদী যতই কালো টাকা উদ্ধারের কথা বলুন না কেন, সে টাকা কি আদৌ উদ্ধার হয়েছে? কিন্তু যে দাবি নিয়ে মোদী সরকার বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করেছেন, সুইস ব্যাঙ্কের তথ্য কিন্তু সেই দাবিকে কার্যত প্রশ্নের মুখেই ফেলল।