গত ৩ সেপ্টেম্বর নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক রণদীপ সিংহ এবং এস জে সিংহকে গ্রেফতারের পর প্রথম তথ্য ফাঁসের ঘটনা জানা গিয়েছিল। সিবিআই-এর সেই অভিযানে উদ্ধার হয়েছিল নগদ ২ কোটি টাকা। এর পর অজিতকুমার পাণ্ডে নামে নৌসেনার এক কমান্ডার স্তরের কর্মরত অফিসারকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এস জে সিংহ নৌসেনা থেকে অবসরের পরে কোরিয়ার একটি নৌ-সুরক্ষা বিষয়ক সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন। মূলত তাঁরই মাধ্যমে তথ্য আদানপ্রদান হয়েছিল বলে তদন্তকারী সংস্থার দাবি। নৌসেনার তরফেও ইতিমধ্যেই তথ্য পাচারের অভিযোগের ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন রিয়ার অ্যাডমিরাল পর্যায়ের এক আধিকারিক।
কয়েক বছর আগে ফ্রান্স থেকে কেনা স্করপেন গোত্রের ছ’টি ডুবোজাহাজের ক্ষেত্রেও নৌবাহিনীর ‘ওয়ার রুম’ থেকে ‘স্পর্শকাতর তথ্য’ পাচারের অভিযোগ উঠেছিল।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ডুবোজাহাজের কার্যকারিতা নির্ভর করে শত্রুর নজর ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতার উপর। জলের তলায় ডুবোজাহাজ কোন কম্পাঙ্কের কতখানি শব্দ করছে, কোন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে তথ্য আদানপ্রদান করছে, তা জানা হয়ে গেলে ডুবোজাহাজকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করার সুযোগ পেয়ে যায় শত্রু। তবে রাশিয়া থেকে কেনা ভারতীয় নৌসেনার ডুবোজাহাজগুলির ঠিক কী কী তথ্য ফাঁস হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।