প্রতীকী ছবি।
নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজ আধুনিকীকরণ প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের ঘটনায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ভারতীয় নৌসেনার এক কর্মরত এবং দু’জন প্রাক্তন অফিসার। ইতিমধ্যেই ওই গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআই সূত্রের খবর, রাশিয়া থেকে কেনা কিলো ক্লাসের ডুবোজাহাজ সংক্রান্ত তথ্য ফাঁসেও ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির এবং দুর্নীতি দমন আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে। অন্য অভিযুক্তেরা হায়দরাবাদের একটি সংস্থার ডিরেক্টর।
গত ৩ সেপ্টেম্বর নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক রণদীপ সিংহ এবং এস জে সিংহকে গ্রেফতারের পর প্রথম তথ্য ফাঁসের ঘটনা জানা গিয়েছিল। সিবিআই-এর সেই অভিযানে উদ্ধার হয়েছিল নগদ ২ কোটি টাকা। এর পর অজিতকুমার পাণ্ডে নামে নৌসেনার এক কমান্ডার স্তরের কর্মরত অফিসারকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এস জে সিংহ নৌসেনা থেকে অবসরের পরে কোরিয়ার একটি নৌ-সুরক্ষা বিষয়ক সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন। মূলত তাঁরই মাধ্যমে তথ্য আদানপ্রদান হয়েছিল বলে তদন্তকারী সংস্থার দাবি। নৌসেনার তরফেও ইতিমধ্যেই তথ্য পাচারের অভিযোগের ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন রিয়ার অ্যাডমিরাল পর্যায়ের এক আধিকারিক।
কয়েক বছর আগে ফ্রান্স থেকে কেনা স্করপেন গোত্রের ছ’টি ডুবোজাহাজের ক্ষেত্রেও নৌবাহিনীর ‘ওয়ার রুম’ থেকে ‘স্পর্শকাতর তথ্য’ পাচারের অভিযোগ উঠেছিল।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ডুবোজাহাজের কার্যকারিতা নির্ভর করে শত্রুর নজর ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতার উপর। জলের তলায় ডুবোজাহাজ কোন কম্পাঙ্কের কতখানি শব্দ করছে, কোন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে তথ্য আদানপ্রদান করছে, তা জানা হয়ে গেলে ডুবোজাহাজকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করার সুযোগ পেয়ে যায় শত্রু। তবে রাশিয়া থেকে কেনা ভারতীয় নৌসেনার ডুবোজাহাজগুলির ঠিক কী কী তথ্য ফাঁস হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy