কেন্দ্রের সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সংঘাত চরমে। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
বিরোধীদের সঙ্গে এ বার শিল্পমহলও দাবি তুলল, সংঘাত না-বাড়িয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করুক অর্থ মন্ত্রক। শিল্পমহলের মতে, এমনিতেই যখন আর্থিক ক্ষেত্রে সঙ্কট চলছে, তখন সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঐকমত্যে পৌঁছনো জরুরি।
বণিকসভা সিআইআই-এর সভাপতি রাকেশ মিত্তল আজ বলেন, ‘‘আর্থিক ক্ষেত্র যখন চাপের মধ্যে রয়েছে, তখন কিছু পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য তৈরি করা প্রয়োজন। এ জন্য সরকার, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সেবি, আইআরডিএ— সকলের মধ্যেই সমন্বয় থাকা দরকার। কেননা, কোনও একটি ক্ষেত্র ধাক্কা খেলে গোটা অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়ে।’’
আইনি ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি সূত্রের অবশ্য দাবি, নির্দেশ নয়, গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করার জন্যই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইনের ৭ নম্বর ধারাকে ব্যবহার করা হয়েছে। যার উদ্দেশ্য ছিল, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যাতে বিধিনিষেধ শিথিল করে ব্যাঙ্ক ও নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থাগুলিকে আরও ঋণ বিলির ক্ষমতা দেয়।
অনাদায়ী ঋণের বোঝায় দুর্বল ১১টি সরকারি ব্যাঙ্কের উপর নতুন ঋণ বিলিতে বিধিনিষেধ জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাতে অর্থ মন্ত্রক খুশি নয়। আবার ঋণ শোধে এক দিন দেরি হলেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছে, তা নিয়েও সরকারের আপত্তি রয়েছে। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির অভিযোগ, ‘‘সরকার আসলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে চাপ দিচ্ছে, যাতে বন্ধু ধনী শিল্পপতিরা আরও ঋণ পান। যাঁরা এমনিতেই জনগণের টাকা ব্যাঙ্ক থেকে নিয়ে শোধ করেননি, তাঁদের ৩ লক্ষ কোটি টাকা মকুব করে দেওয়া হয়েছে। এ বার আরও ঋণ পাইয়ে দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।’’
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, ‘‘অর্থমন্ত্রী ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের উচিত একান্ত আলোচনায় বসে ঐকমত্যের রাস্তা খোঁজা। গোটা বিশ্বে এ ভাবেই বিবাদ মেটানো হয়। কিন্তু তা না করে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চকে মাঠে নামিয়ে গভর্নরকে প্রকাশ্যে অপমান করা হচ্ছে। রঘুরাম রাজনের উপরেও এ ভাবে চাপ তৈরি হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy