অপহরণকারী চক্রে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হল সেনাবাহিনীর এক গোয়েন্দা-কর্মীকেও। কাল যে সাতজনকে ধরা হয়েছিল, তাদের জেরা করেই বিনোদ লাংথাসার কথা জানতে পারে পুলিশ। রাতেই তাকে তুলে আনে। আজ আটজনকেই আদালতের সামনে পেশ করা হয়। বিচারক তাদের সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাক্তন আলফা ও ডিমা হাসাও ন্যাশনাল আর্মি-র ক্যাডাররা ক-দিন আগে কাছাড়ের বিডিও-র সঙ্গে দেখা করে। ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকেও অর্থ আদায় করে। বিডিও এতদিন চুপ থাকলেও আজ পুলিশের সামনে তিনি অর্থ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
পুলিশ সুপার রজবীর সিংহ বলেন, ডিমা হাসাও জেলায় গত ক-মাসে যে কটি অপহরণ ঘটেছে, সবকটি এই অপহরণ চক্রের কাজ। ২০১৪ সালে কাছাড়ের এক বাগান ম্যানেজারকেও তারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল। পরে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করে ছাড়া হয়েছে। সমস্ত অপহরণ, অর্থ আদায়ের মাস্টার মাইন্ড আলফা-য় প্রশিক্ষিত পঙ্কজ ফুকন। সে বছরতিনেক আগে বরাক উপত্যকায় চলে আসে। বিভিন্ন চা বাগানে কাজ জোটায়। একেক বাগানে দু-চার মাসের বেশি থাকেনি। খবরাখবর সব জেনে অন্যত্র চলে যায়। পরে যোগাযোগ ঘটে ডিমাসা জঙ্গিদের সঙ্গে। জোনেশ হোজাই সংগঠনটির স্বঘোষিত সেনাধ্যক্ষ। ডিমা হাসাও থেকে অপহরণ করে কাছাড়ে লুকিয়ে রাখা হতো। ডিমা হাসাও পুলিশ একবার এখানে এসে যৌথ অভিযান চালিয়ে সফল হয়নি। তবে কাছাড় পুলিশ দুষ্কৃতীদের সন্ধানে থেকে যায়। সে সূত্রেই বেরিয়ে আসে কাছাড়ের বিক্রমপুর চা বাগান ম্যানেজারকে অপহরণের ছক। কিন্তু ম্যানেজার সে দিন কলকাতা চলে যাওয়ায় তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। পরে সেই বাগানে নিয়ে যাওয়া শ্রমিকদের মজুরি লুটপাটের পরিকল্পনা এঁটেছিল। পুলিশ খবর পেয়ে চা বাগানের গাড়িতে সাদা পোশাকে বসে থাকে। কিন্তু গাড়ির ভেতরে বেশি মানুষ দেখে দুষ্কৃতীদের সন্দেহ হয়। সেদিন তারা আর হামলা চালায়নি। তবে পুলিশের কাজ চলতে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy