Advertisement
E-Paper

‘শাস্তি’ দেওয়ার জন্য ঝাড়খণ্ডে গণধর্ষণ, জেরায় বলল ধৃতেরা

প্রাথমিকভাবে পুলিশের মনে হয়েছিল, যৌন লালসা মেটানোর জন্যেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পাঁচ মহিলাকর্মীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৮ ১৪:৩৫
ঝাড়খণ্ড গণধর্ষণে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ধৃতদের।

ঝাড়খণ্ড গণধর্ষণে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ধৃতদের।

ঝাড়খণ্ডে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পাঁচ কর্মীকে গণধর্ষণের পিছনে রয়েছে ষড়যন্ত্রএবং দীর্ঘ পরিকল্পনা। ধর্ষণকারী সন্দেহে ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এমন ধারণাই দৃঢ় হয়েছে ঝাড়খণ্ড পুলিশের। তাদের দাবি, এলাকায় সচেতনতার প্রচার করায়, ওই সমাজকর্মীদের ‘শাস্তি’ দেওয়া হয়েছে বলেও ধৃতেরা কবুল করেছে।

কিন্তু কারা এ ঘটনায় জড়িত? তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা বলছেন, মঙ্গলবার খুঁটি জেলার ওচাং নামের যে গ্রাম থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ১১ জনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা। নারী পাচারের জন্য কুখ্যাত। মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীদের ডেরা বলেও চিহ্নিত। সম্প্রতি প্রশাসনকে উপেক্ষা করে ওই এলাকাকে কার্যত মুক্তাঞ্চল বলে ঘোষণা করেছে ‘পাথরগড়ি’ আন্দোলনকারীদের সংগঠন। তারা ভোটের বিরোধী। স্থানীয় ছেলেমেয়েরা সরকারি স্কুলে পড়তে যাবে, তাতেও পাথরগড়িদের ঘোরতর আপত্তি।প্রাথমিকভাবে পুলিশের মনে হয়েছিল, যৌন লালসা মেটানোর জন্যেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পাঁচ মহিলাকর্মীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, ‘‘এলাকায় সচেতনতা বাড়ানোর প্রচারে নামায় তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’’ এই ঘটনায় পাথরগড়ি আন্দোলনকারী এবং মাওবাদী সংগঠন পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া সরাসরিভাবে যুক্ত বলে পুলিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, গতমঙ্গলবার ওই স্কুলের বাইরে নারী পাচার বিরোধী সচেতনতা বাড়াতে একটি পথনাটিকার আয়োজন করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। বেলা ১২টা নাগাদ দু’টি মোটরবাইক এবং একটি গাড়িতে চড়ে জনা ছয়েক যুবক সেখানে আসে। বন্দুক দেখিয়ে পাঁচ মহিলা-সহ ১১ জনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় জঙ্গলে। সেখানে তখন পাথরগড়ি আন্দোলনের প্রাধান জন জোহানাস টিডু অপেক্ষা করছিলেন। এর পর হাড় হিম করা নির্যাতন। প্রথমে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কর্মরত পাঁচ মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়। পুরুষদের নিজেদের প্রস্রাব খেতে বাধ্য করা হয়। মোবাইলে সেই ছবিও তুলে রাখে দুষ্কৃতীরা। পরে কার্যত বিবস্ত্র অবস্থায় নির্যাতিতাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: দরখাস্ত একেই বলে, কনস্টেবলের মিলল দেড় মাসের ছুটি

আরও পড়ুন: ভরদুপুরে রাজধানীর রাস্তায় মেজরের স্ত্রীর গলা কাটা দেহ!

ওচাং গ্রামে যে মিশনারি স্কুলের বাইরে থেকে ১১ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল, সেই স্কুলের প্রধান ফাদার আলফানসোকেও এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি গণধর্ষণের ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য নির্যাতিতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁদের পুলিশের কাছে যেতে বাধাও দেন। গণধর্ষণে যুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে আজুব সান্দি পুর্তি ও আশিস লোঙ্গো নামের দুই যুবককে। বাকি চার জন শনাক্ত হওয়ায়, তাদেরও গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে পুলিশ।

Jharkhand gang rape pathargari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy