অতিমারি-পর্ব থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্কটমোচনে নতুন করে উদ্যোগী হল ঝাড়খণ্ড।
অতিমারি-পর্ব থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্কটমোচনে নতুন করে উদ্যোগী হল ঝাড়খণ্ড। কাজের সন্ধানে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকেরা অন্য কোন রাজ্যে যাচ্ছেন, সেখানে তাঁরা কী ভাবে বসবাস করছেন— এই সমস্ত তথ্য এ বার থেকে সরকারি খাতায় পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নথিভুক্ত করে শ্রমিকদের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হবে বলে জানাল ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন সরকার। এই ব্যবস্থাপনার নাম ‘সেফ অ্যান্ড রেসপন্সিবল মাইগ্রেশন ইনিশিয়েটিভ’ (এসআরএমআই)। নতুন ব্যবস্থাপনায় শুধু ঝাড়খণ্ডের শ্রম দফতরই এই কাজ করবে না, বিভিন্ন রাজ্যে খোলা হবে ‘শ্রম কনস্যুলেট’-ও। ইতিমধ্যেই লাদাখ এবং কেরলে এই রকম শ্রম কনস্যুলেট খোলার পরিকল্পনা করেছে ঝাড়খণ্ড সরকার।
গত বছর দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর রাতারাতি কাজ হারিয়েছেন অগণিত পরিযায়ী শ্রমিক। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে দাঁড়িয়ে ভিন্ রাজ্য থেকে নিজেদের ঘরে ফিরতে শুরু করেন তাঁরা। করোনা-সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই বাড়ির পথে হাঁটা দিয়েছিলেন হাজার হাজার শ্রমিক। পথে কেউ দুর্ঘটনায়, কেউ ক্লান্তিতে প্রাণ হারান। নিখোঁজও হন বহু শ্রমিক। শুধু তাই নয়, ঝাড়খণ্ডের বহু মহিলাও পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়ে বহু সময় নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন তাঁরা। তাঁদের সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতেও এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার।
নতুন ব্যবস্থাপনা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার একটি আলোচনা-সভার আয়োজন করেছিল ঝাড়খণ্ড সরকার। সেখানে মুখ্যসচিব সুখদেও সিংহ বলেন, ‘‘এক রাজ্যের মানুষ অন্য রাজ্যে যাবেন, এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। ঝাড়খণ্ড সরকার এর বিরুদ্ধে নয়। যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তা হলে আমরাও উৎসাহ দেব। কিন্তু অতিমারি-পর্বে এই প্রবণতায় অনেক ফাঁকফোকর চোখে পড়েছে। আমাদের ব্যবস্থাপনা ওই শূন্যস্থান পূরণ করবে।’’
পলিসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভাইসরি গ্রুপ (পিডিএজি)-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্যগুলির মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব থাকা জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy