Advertisement
২৫ মার্চ ২০২৩
Joshimath

দ্রুত ‘বসে’ যাচ্ছে জোশীমঠ! বিপর্যস্তদের উদ্ধারে আরও তৎপর প্রশাসন, আনা হয়েছে হেলিকপ্টার

জোশীমঠ কেন ধীরে ধীরে মাটির নীচে ধসে যাচ্ছে, তা খুঁজে বার করতে রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন করা হয়েছে। এ বার বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন হল কেন্দ্রের তরফেও।

কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার জোশীমঠে ভূমিধসের ঘটনা এবং এর প্রভাব দ্রুত খতিয়ে দেখতে একটি প্যানেল গঠন করেছে।

কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার জোশীমঠে ভূমিধসের ঘটনা এবং এর প্রভাব দ্রুত খতিয়ে দেখতে একটি প্যানেল গঠন করেছে। ছবি: পিটিআই ।

সংবাদ সংস্থা
দেহরাদূন শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:২৭
Share: Save:

দ্রুত তলিয়ে যাচ্ছে গাড়োয়াল হিমালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জনপদ জোশীমঠ। বাড়ছে বাড়িঘর এবং রাস্তার ফাটল। তাই স্থানীয়দের সরিয়ে ফেলতে আরও তৎপর হল উত্তরাখণ্ড সরকার। বিপর্যস্তদের দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে নিয়ে আসা হল হেলিকপ্টার।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাত থেকেই জোশীমঠে বসবাসকারীদের গাড়ি করে আশ্রয় শিবিরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছিল প্রশাসন। শুক্রবার সকালেও পুরোদমে শুরু হয়েছিল উদ্ধারকাজ। কিন্তু শুক্রবার বিকালের দিকে ফাটলগুলির মুখ আরও বাড়তেই প্রশাসনের তরফে মানুষদের দ্রুত অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে হেলিকপ্টার নিয়ে আসা হয়।

জোশীমঠের ‘বসে’ যাওয়া নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। বিপর্যস্ত এলাকাগুলি ঘুরে এসে বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও জোশীমঠ নিয়ে জরুরি পর্যালোচনা বৈঠকের ডাক দেন তিনি। সেখানেই হেলিকপ্টারে চাপিয়ে মানুষকে অন্য আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জোশীমঠ কেন ধীরে ধীরে মাটির নীচে ধসে যাচ্ছে, তা খুঁজে বার করতে রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন করা হয়েছে। এ বার বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন হল কেন্দ্রের তরফেও। কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার জোশীমঠে ভূমিধসের ঘটনা এবং এর প্রভাব দ্রুত খতিয়ে দেখতে একটি প্যানেল গঠন করেছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক দিন ধরেই ক্রমাগত বসে যাচ্ছে জোশীমঠের জমি। ফাটল ধরছে একের পর এক বাড়িতে। রাস্তাতেও যেখানে সেখানে ফাটল ধরতে দেখা যাচ্ছে। মাটির তলা থেকে উঠে আসছে অদ্ভুত শব্দ। এর পরই জোশীমঠের আতঙ্কিত স্থানীয়রা তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবিতে পথে নামেন।

মাটি বসে যাওয়ার কারণে এ পর্যন্ত চামোলি জেলার এই শহরে সাড়ে পাঁচশোরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিংধর জৈন, মাড়ওয়ারি, জেপি কলোনির মতো শহরের বেশ কিছু অঞ্চলে প্রতি দিন মাটি বসে গিয়ে নতুন করে ফাটল দেখা দিচ্ছে ঘরবাড়িতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.