লখনউ জেল থেকে ছাড়া পেলেন সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান। ফাইল চিত্র।
২৮ মাসের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে জেল থেকে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান। বৃহস্পতিবার লখনউয়ের জেল থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জেল থেকে বেরিয়ে কাপ্পান এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “কঠোর আইনি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমার লড়াই জারি থাকবে। জামিন পাওয়ার পরেও ওরা আমাকে জেলবন্দি করে রেখেছিল। ২৮ মাস ধরে লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। জানি না, আমাকে জেলে ভরে কার লাভ হয়েছে। দু’বছর খুব কঠিন সময় ছিল। কিন্তু আমি ভয় পাইনি।”
বুধবার সন্ধ্যাতেই কাপ্পানকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশেষ আদালতের বিচারক, যাঁর এজলাসে কাপ্পানের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক তছরুপের মামলা শুনানি হয়েছিল, সেই বিচারক বার কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় বুধবার কাপ্পানের মুক্তির বিষয়টি আটকে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে কাপ্পানকে মুক্তি দেওয়া হয়।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি নিয়ে গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিল। সেই ঘটনাই তুলে ধরেছিলেন সাংবাদিক কাপ্পান। ২০২০ সালের অক্টোবরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি ছিল, হাথরসে কাপ্পান যাওয়ার কারণে অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। কাপ্পানের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে দেশদ্রোহিতার মামলা করা হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অভিযোগ তোলা হয় যে, নিষিদ্ধ সংগঠন পিপলস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-র থেকে টাকা নিতেন কাপ্পান।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট কাপ্পানের জামিন মঞ্জুর করে। তিন মাস পরে আর্থিক তছরুপের মামলা থেকেও তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও কাপ্পানের মুক্তির বিষয়টি আটকে ছিল বেশ কয়েকটি কারণে। অবশেষে বৃহস্পতিবার তিনি মুক্তি পেলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy