—প্রতীকী ছবি।
ত্রিশঙ্কু হলেও কর্নাটকে এগিয়ে কংগ্রেসই। ভোটের পাঁচ দিন আগে জনমত সমীক্ষায় উঠে এল এমনই এক ছবি। সিএসডিএস-লোকনীতিকে দিয়ে এবিপি নিউজ গত ২৭ এপ্রিল থেকে ৩ মে-র মধ্যে রাজ্যের ৫৬ বিধানসভা কেন্দ্রের ২২৪টি বুথে সমীক্ষা চালিয়ে এই ফল জানিয়েছে। মোট ৪,৯২৯ জনের মত নেওয়া হয়েছে এই সমীক্ষায়। দেখা যাচ্ছে ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেস পেতে পারে ৯২ থেকে ১০২টি আসন। সরকার গড়তে দরকার ১১৩ জন। বিজেপির ভাগ্যে জুটতে পারে ৭৯ থেকে ৮৯টি আসন।
দেবগৌড়ার জেডিএসের ঝুলিতে যেতে পারে ৩২ থেকে ৪২টি আসন। অন্যদের খাতে ১ থেকে ৭টি।
এই ধরনের সমীক্ষার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। অতীতে অনেক বারই এমন সমীক্ষার ফল মেলেনি। তবুও জনতার মনের আঁচ পেতে সহায়ক হয় এই ধরনের সমীক্ষা। ১২মে ভোটের পর এই যদি ফলাফলের চিত্র হয়, তা হলে জেডিএসই হয়ে উঠতে পারে ‘কিং-মেকার’। তারা যাকে সমর্থন করবে, তারাই যাবে সরকারে। কংগ্রেস অনেক দিন ধরেই বলে আসছে, তলে তলে জেডিএসের সঙ্গে আঁতাঁত আছে বিজেপির। প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগে দেবগৌড়ার প্রশস্তি করে পরে অবশ্য আক্রমণও করেছেন সম্প্রতি।
সমীক্ষা বলছে, জনতা মনে করছে বিজেপিই সব থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত দল এবং উন্নয়নে সেরা কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও প্রথম পছন্দ কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া। গ্রামে কংগ্রেসকে বেশি পছন্দ করছেন মানুষ। সব মিলিয়ে তারা ৩৮% ও বিজেপি ৩৩% ভোট পেতে পারে। আর জেডিএস ২২%। ২০০৮-এ অবশ্য বিজেপি শতাংশের হিসেবে কম ভোট পেয়েও বেশি আসনে জিতেছিল। কিন্তু সমীক্ষকরা বলছেন, সেই সময় দুই দলের ভোটের ব্যবধান কম ছিল। এখন সেটি মাত্র ৫ শতাংশের খানিকটা উপরে।
বিজেপির বক্তব্য, এই সমীক্ষা হয়েছে নরেন্দ্র মোদী নামক ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ প্রয়োগের আগে। পরের ক’দিনে ছবি বদলে যাবে। আর কংগ্রেস বলছে, এমনিতেই তারা এগিয়ে। সিদ্দারামাইয়ার উন্নয়ন, রাহুল গাঁধীর ঝড়ের পাশাপাশি আজ মনমোহন সিংহও গিয়েছেন প্রচারে। আগামিকাল সনিয়া গাঁধীও প্রচারে নামছেন। কংগ্রেস একার জোরেই সরকার গড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy