Know the list of other offenders who fled country to avoid arrest dgtl
URL Copied
দেশ
নীরবের মতো আরও যাঁরা দেশ থেকে পালিয়েছেন
নিজস্ব প্রতিবেদন
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৪:৩৪
Advertisement
১ / ৭
নীরব মোদী একা নন, এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা নিজেদের বাঁচাতে শেষমেশ দেশ ছেড়েছেন। এঁরা প্রত্যেকেই বড় ব্যবসায়ী এবং কোনও না কোনও আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। গা বাঁচাতে দেশ ছাড়ার তালিকায় নীরব ছাড়াও আর কে কে রয়েছেন? তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগই বা কী? দেখে নেওয়া যাক
২ / ৭
নীরব মোদী:
হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীকে নিয়ে এখন দেশ উত্তাল। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মুম্বইয়ের ব্র্যাডি হাউস শাখা থেকে প্রায় ১১ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। নোটবন্দির সময়ে প্রচুর সোনা ও হিরে কিনে কালো টাকা সাদা করেছেন বলে অভিযোগ। এর পর দেশ ছেড়েছেন। তবে, এই মুহূর্তে কোথায় রয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। একটি বেসরকারি চ্যানেলের দাবি, নীরব নিউ ইয়র্কে। চার সপ্তাহের জন্য তাঁর পাসপোর্ট সাসপেন্ড করা হয়েছে।
Advertisement
Advertisement
৩ / ৭
মেহুল চোক্সী:
টাকা হাপিসে ভাগ্নে নীরবের সঙ্গেই জোর টক্করে মামা মেহুল চোক্সী। ভাগ্নে নীরব মোদী পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের চোখে ধুলো দিয়েছিলেন। একই ব্যাঙ্কের একই শাখায় একই কায়দায় প্রতারণা করেছেন মেহুল। এমনই অভিযোগ। ভাগ্নে নীরবের পাশাপাশি তাঁরও খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই। তিনিও দেশছাড়া। কোথায় রয়েছেন জানা যায়নি।
৪ / ৭
ললিত মোদী:
দীর্ঘ দিন ধরে ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ললিত মোদী। আইপিএলের মূল রূপকার। ২০১০-এ কোচি আইপিএল টিমের শেয়ারহোল্ডারদের নাম ফাঁস করে দেন ললিত। তথ্য ফাঁস করা যাবে না, টিমের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন ললিত। তার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১০-এর আইপিএল শেষ হওয়ার পরেই গোপনতা লঙ্ঘন এবং ৪৭০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে তাঁকে বিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। ললিত এই মুহূর্তে লন্ডনে। কার্যত দেশছাড়া। বার বার সমন পাঠিয়েও কাজ না হওয়ায় ইডি-র আর্জি মেনে মোদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। লন্ডন কোর্টে ইডি-র নোটিসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন ললিত।
Advertisement
৫ / ৭
বিজয় মাল্য:
ভারতীয় ব্যাঙ্ক থেকে ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপের মামলায় অভিযুক্ত বিজয় মাল্য। মদ-ব্যবসায়ী, ৬১ বছর বয়সী এই ধনকুবের ২০১৬-র মার্চে ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান। তখন থেকেই রয়েছেন ব্রিটেনে। সেখানে একাধিক বার মাল্য গ্রেফতারও হন। কিন্তু প্রতি বারই জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
৬ / ৭
দীপক তলোয়ার:
হাওয়ালার মাধ্যমে প্রায় হাজার কোটি টাকা আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত তিনি। আয়কর দফতর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু, যত ক্ষণে তদন্ত শুরু হয়েছে, তিনি দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে গা ঢাকা দেন বলে অভিযোগ।
৭ / ৭
সঞ্জয় ভাণ্ডারী:
২০১৬-র এপ্রিলে আয়কর দফতর তাঁর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালায়। তাতে নিরাপত্তাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি মেলে। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (এফইএমএ) অমান্য করে প্রায় ২৭ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে আর্মস্ ডিলার সঞ্জয় ভাণ্ডারীর বিরুদ্ধে। তিনিও অন্য দেশে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন বলে গোয়েন্দাদের দাবি।