—ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরা শাসক জোটের দুই শরিক বিজেপি ও আইপিএফটির সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। লোকসভা ভোটে দুই শরিক রাজ্যের দু’টি আসনেই পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়ছে। জনজাতি অধ্যূষিত পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনে লড়তে নেমেছেন খোদ বিপ্লব দেব মন্ত্রিসভার রাজস্ব মন্ত্রী তথা আইপিএফটি প্রধান নরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মা। স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষিপ্ত বিজেপি। ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
এতদিন আইপিএফটি-কে না-পাত্তা করার মনোভাব নিয়ে চললেও আজ তিনি প্রকাশ্য জনসভায় শরিক দলের বিরুদ্ধে ‘চোর’ শব্দ ব্যবহার না করেও চোরই বলেছেন। তিনি জোট শরিক আইপিএফটির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘এরা অতি চালাকি করতে গিয়েছে। অতি লোভে এদের গলায় দড়ি পড়বে। নিজেদের ঘরেই এরা সিঁদ কাটছে।’’ আসলে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে র চতুর্মুখী লড়াইয়ে চাপের মুখে বিজেপি। একদিকে জনজাতি নেতা নরেন দেববর্মা, অন্য দিকে কংগ্রস প্রার্থী ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্যা, ‘রাজকুমারী’ প্রজ্ঞা দেবী। এ ছাড়া রয়েছেন বর্তমান সিংসদ, সিপিএমের জিতেন চৌধুরী। ফলে চাপ পড়ছে বিজেপি প্রার্থীর উপরে। মুখ্যমন্ত্রীর অসংসদীয় আক্রমণের মুখে মুখ খুলেছেন নরেন দেববর্মাও। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী শিষ্ঠাচারও ভুলে গিয়েছেন।’’ উল্লেখ্য, বিরোধীদের সম্পর্কে এই ভোটের মরশুমেই অসংসদীয় আখ্যানে বিপ্লববাবু সরব। কখনও তিনি কংগ্রেসকে বলছেন ‘শৃগাল’, কখনও বিরোধীদের বলছেন ‘বান্দরের দল’। কলকাতায় এসে তৃণমূলকে তিনি নেকড়ে বলেছেন। আর সব ক্ষেত্রেই তাঁর ‘শের’ নরেন্দ্র মোদী।
এ দিকে, বিজেপি-আইপিএফটির এই লড়াইয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছিল কংগ্রেস। গতকাল রাতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মন আর এক জনজাতি নেতা, আইএনপিটি সভাপতি বিজয় রাঙ্খলকে সঙ্গে নিয়ে নরেন দেববর্মার বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। জানা গিয়েছে, সংরক্ষিত আসনটিতে বিজেপির বিরুদ্ধে জনজাতি ভোট যাতে ভাগ না হয়, সে কারণে তাঁকে প্রার্থী পদ প্রত্য়াহারের অমুরোধ করেন তিনি। পরিবর্তে কংগ্রেস প্রার্থীর জন্য সমর্থন চান। এমনকী আইপিএফটি যদি বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে বেরিয়ে আসে তবে নরেন দেববর্মার প্রার্থীপদ সমর্থন করে প্রজ্ঞা দেবীকে প্রত্যাহার করার কথাও তিনি বলেন। তবে আজ নরেন দেববর্মা জানিয়েছেন, এখনই বিজেপি জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার কথা তাঁরা ভাবছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy