Advertisement
১৪ অক্টোবর ২০২৪
National News

সফটওয়্যারই ধরিয়ে দিল গণধর্ষণের আসল অপরাধীকে

ঘটনা ১৭ নভেম্বরের। দেহরাদূনের বাসিন্দা এক তরুণী স্টেনোগ্রাফির কোচিং সেরে মোহালিতে বাড়ি ফেরার জন্য অটোতে উঠেছিলেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ১৩:৪৫
Share: Save:

একটা সফটওয়্যার, আর সেটাই ধরিয়ে দিল চণ্ডীগড়ে গণধর্ষণের মূল পান্ডা ২৯ বছরের অটো চালককে। ধৃতের নাম মহম্মদ ইরফান।

ঘটনা ১৭ নভেম্বরের। দেহরাদূনের বাসিন্দা এক তরুণী স্টেনোগ্রাফির কোচিং সেরে মোহালিতে বাড়ি ফেরার জন্য অটোতে উঠেছিলেন। অটোতে আগে থেকেই দুই যুবক বসেছিল। অভিযোগ কিছু দূর যেতেই অটোর মুখ ঘুরিয়ে একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তিন জন মিলে গণধর্ষণ করে তাঁকে।

আরও পড়ুন: ১০০ বছরের মধ্যে এই প্রথম মহিলা মেয়র পাচ্ছে লখনউ

মোদীর ‘বিকৃত’ ছবি পোস্ট করে গ্রেফতার যুবক

ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। চণ্ডীগড় পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে চিরুণি তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু কোনও ভাবেই কোনও সূত্র পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অটোর যে ছবি পাওয়া গিয়েছিল সেটা খুব একটা পরিষ্কার নয়। ফলে অটোর নম্বরও বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল তদন্তকারী অফিসারদের। এক জন সাইবার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো ৫৮ হাজার টাকা খরচ করে ‘ব্লারড ইমেজ ফিল্টার’ সফটওয়্যার কেনা হয়। আর সেই সফটওয়্যার দিয়েই অটোর নম্বরপ্লেটে লেখা নম্বরের অনেকটা উদ্ধার করা সম্ভব হয়। অটোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল সিএইচ-৭৮টি-২৭৪০। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে সিএইচ লেখাটা বোঝা যাচ্ছিল। ওই সফটওয়্যার ব্যবহার করে ৭, টি, ২, ৪— অস্পষ্ট এই চারটি অক্ষর উদ্ধার হয়। তার পরই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ইরফান। তবে তার দুই সঙ্গী এখনও পলাতক।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE