শেষ পর্যন্ত পিছু হটলেন গোলদীঘি মলের ব্যবসায়ীরা। আজ বেলা দেড়টায় বন্ধ প্রত্যাহার করে নিজেরাই দোকানপাট খুললেন।
পুরসভা পরিচালিত এই মলে বৃহস্পতিবার পরিচালন সমিতির সচিব তথা কাউন্সিলর রাজেশ দাসের সঙ্গে এক ব্যবসায়ীর বিবাদ বাধে। রাজেশবাবু পরে ওই ব্যবসায়ীর দোকানের বিদ্যুত সংযোগ কেটে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর অপসারণ দাবি করে গোলদীঘি মল মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সে রাতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য মলে বন্ধ শুরু হয়।
আজ দোকানপাট খোলার আগে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা সাংবাদিকদের জানান, মলের ভিতরে কিছু খাবারের দোকান রয়েছে। আচমকা বন্ধে প্রচুর ক্ষতি হতে চলেছে। মাল্টিপ্লেক্স-এরও পুরো টিকিট বুকিং। মার খাচ্ছে তারাও। এর উপর গত কাল পুরপ্রধান তাঁদের দাবি মেটানোর ব্যাপারে ১৭ অগস্ট পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। তাই তাঁরা আপাতত মল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তাঁরা সচিবের দায়িত্ব থেকে রাজেশ দাসের অপসারণের দাবিতে অনড় রয়েছেন, তা বারবার বলতে থাকেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি প্রণয়কুমার পাল ও শুভজিৎ গুপ্ত, সম্পাদক স্বপনকুমার পাল, গোবিন্দ কংসবণিক প্রমুখ। এ ব্যাপারে রাজেশবাবুর বক্তব্য, ‘‘কালই বলেছিলাম, আজ মল খোলা হবে। আন্দোলনকারীরা নিজেরাই তা খুলে দেওয়ায় ভালই হল।’’