উপজাতি সংগঠন আইপিএফটি-র মিছিল থেকে মঙ্গলবার আগরতলায় যে অশান্তি ছড়িয়েছিল, ত্রিপুরা সরকার তার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিল। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার পর প্রথম মুখ খুলে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বৃহস্পতিবার জানালেন, আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মঙ্গলবারের অশান্তির ঘটনা উস্কানিমূলক ও একেবারেই অপ্রত্যাশিত। প্ররোচনার ফলেই এটা ঘটেছে।’’ উল্লেখ্য, প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং আইপিএফটি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন অভিযোগ করেন, রাজ্যের শান্তি ও সম্প্রীতির ঐতিহ্য নষ্ট করার চক্রান্ত করা হয়েছিল ওই দিন। কিন্তু আগরতলার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ উদ্যোগী হয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকে সাহায্য করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে, সে দিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠলেও প্রশাসনের পাশেই দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষের কোনও কারণ দেখছি না।’’ তিনি জানান, মিছিল শান্তিপূর্ণ থাকবে বলে আইপিএফটির নেতারা প্রশাসনকে কথা দিয়েও রাখেননি।
আজও শহরে ১৪৪ ধারা রয়েছে। উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় আতঙ্কও রয়েছে। আগরতলা থেকে খোয়াই ও সিমনা রুটে কাল সারা দিন বাস চলেনি। আজও সকাল সাড়ে এগারোটার পরে আগরতলা-খোয়াই রুটে বাস চলাচল শুরু হয়।
অভিযোগ, বাস চালকেরা আতঙ্কে উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে যেতে চাইছেন না। ফেসবুক ও টুইটারে মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ সব বেআইনি কাজ। যারা করছেন, বন্ধ রাখুন। পুলিশ প্রশাসন শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবে।’’
ঘটনার দু’দিন পরে আজ শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন করা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি এবং উপজাতি ছাত্র সংগঠন তুইপ্রা স্টুডেন্টস ফেডারেশন (টিএসএফ)। উভয়েই প্রশ্ন তুলেছে, সব স্বাভাবিক থাকলে উপজাতি় ছেলেমেয়েদের কেন পুলিশি পাহারায় গ্রামে ফিরে যেতে হচ্ছে? দুই সংগঠনই মঙ্গলবারের ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy