কাজের সূত্রে কাশ্মীরে এসেছিল উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরাবাদের বাসিন্দা সন্দীপ শর্মা। আজ লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। যে ভাবে অ-কাশ্মীরিদের লস্কর নিজেদের দলে ভেড়াতে শুরু করেছে তাতে নতুন করে বিপদের গন্ধ পাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
সূত্রের খবর, ঝালাইয়ের কাজ জানা সন্দীপের বিশেষত্ব ছিল এটিএম ভাঙায়। ২০১২ সালে কাজের সূত্রে প্রথম কাশ্মীরে আসে সন্দীপ। পুলিশ জানিয়েছে, শীতের সময়ে পঞ্জাবের পাটিয়ালায় চলে যেত সে। সেখানেই কুলগামের শাহিদ আহমেদের আলাপ হয় তার। পাটিয়ালায় দু’জনে একাধিক এটিএম লুঠ করে। পরে পুলিশের তাড়া খেয়ে কুলগামে ফিরে আসে। বিভিন্ন এটিএম লুঠের পরিকল্পনা হাতে নেয় তারা। তখনই লস্কর নেতা শকুর আহমেদের সঙ্গে আলাপ হয় তাদের। সেই সূত্রেই ক্রমশ লস্করের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে সন্দীপ। পুলিশের দাবি, গত কয়েক মাসে কাশ্মীরের একাধিক এটিএম ও ব্যাঙ্ক লুঠের পিছনে লস্কর থাকলেও মূল মস্তিষ্ক ছিল সন্দীপই।
১ জুলাই লস্কর নেতা বশির লস্করি অনন্তনাগে সংঘর্ষে নিহত হয়। তার বাড়ি থেকে আরও ১৬ জনের সঙ্গে উদ্ধার হয় সন্দীপ। ওই ব্যক্তির নাম, কথা বলার ধরন দেখে প্রথমে খটকা লাগে তদন্তকারীদের।
মাস কয়েক আগে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে যে একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল তাতে আইএসআইয়ের হাত ছিল বলে তদন্তে জানা যায়। দেখা যায় ওই কাজ করার জন্য আইএসআই এজেন্টের সঙ্গে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের টাকার বিনিময়ে ভাড়া করা হয়েছিল। সন্দীপ শর্মাও লস্করে যোগ দেওয়ার আগে অপরাধমূলক কাজকর্ম করত। গোয়েন্দাদের ধারণা, স্থানীয় দুষ্কৃতীদের ব্যবহার করার একটি ছক নিয়েছে আইএসআই তথা জঙ্গি সংগঠনগুলি।
নাশকতার এই কাজে নিয়োগ করার জন্য স্থানীয় দুষ্কৃতীদের ধর্ম দেখা হচ্ছে না। যদিও সন্দীপ শর্মা আজ পুলিশের কাছে জানিয়েছে, সে ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হয়েছে। সত্যিই সন্দীপ ধর্ম পরিবর্তন করেছিল না কাশ্মীরে অপারেশন চালাতে সুবিধের জন্য মুসলিম নাম ব্যবহার করেছিল তা দেখছেন গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy