ফাইল চিত্র।
৮০ বছর বয়সে ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছিলেন মায়া দেবী। যা কখনও কোনও মহিলা পারেননি, সেই ৪০০ বছর পুরনো মথুরার রাধারানি মন্দিরে পুরোহিতের কাজ পেয়েছেন মায়া। কিন্তু মন্দিরের প্রথম মহিলা পুরোহিত হয়ে পুজো করতে যাওয়ার আগে এল বাধা। সেটাও নিজের পরিবার থেকে। মায়ার পুরোহিত হওয়ার বিরোধিতা করে আদালতে গেলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
মথুরা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে রাধারানি মন্দির। বাঁকেবিহারী মন্দিরের পর মথুরার দ্বিতীয় বিখ্যাত মন্দির এটি। গত ৪০০ বছর ধরে এখানে পুরুষ পুরোহিতরাই পুজো করে আসছেন। গত মে মাসে মন্দিরের পুরোহিত হিসাবে উঠে আসেন মায়া দেবী। কিন্তু তার পরে শুরু হয় বিতর্ক। মায়ার স্বামী হরিবংশ লাল গোস্বামী ছিলেন রাধারানি মন্দিরের পুরোহিত। তাঁদের কোনও সন্তান না থাকায় হরিবংশের অবর্তমানে মন্দিরের পুরোহিত হিসাবে দায়িত্ব বর্তায় মায়া দেবীর উপর। কিন্তু তার পরই শুরু হয়েছে সমস্যা।
আসলে হরিবংশের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী মায়া। তাঁর পুরোহিত হতে বাধা এসেছে স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর পরিবারের তরফে। তাঁরা মায়াকে ‘প্রতারক’ বলে অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অন্য দিকে, সংবাদমাধ্যমের কাছে মায়ার দাবি, পুরোহিতের আসনে বসার প্রকৃত দাবিদার তিনিই। তিনি গত ৬০ বছর ধরে ওই মন্দিরে স্বামীর সঙ্গে পুজো করেছেন। এখন প্রধান পুরোহিত হিসাবে যখন দেবতার সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন, কেন ছাড়বেন?
মায়ার আত্মীয় রাসবিহারী গোস্বামী এবং তাঁর অনুগামীরা মহিলা পুরোহিতের বিরুদ্ধে মন্দিরের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ঠাকুর দর্শন, প্রসাদ বিতরণ থেকে মন্দিরের তহবিল গঠন— সব কিছুতেই একা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মায়া। যদিও তা মানতে নারাজ অভিযুক্ত। এ নিয়ে মামলা গড়িয়েছে আদালতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy