বেঙ্গালুরুর সেই পরিবার। পরিবারের কর্তার নাম সেভেরাজ।
প্রতিটি মানুষেরই একটা পছন্দের রং থাকে। ব্যক্তি বিশেষে সেই রঙ আবার আলাদা আলাদা হয়। কারও নীল, কারও বা লাল, এ রকম কোনও না কোনও রঙের প্রতি আকর্ষণ থাকে। ফলে পোশাক হোক বা পছন্দের কোনও জিনিস, সেই পছন্দের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কেনার চেষ্টা করেন অনেকেই। কিন্তু কখনও শুনেছেন, একই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের পছন্দের রং একটাই? শুধু পছন্দেরই নয়, সেই রঙকে জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়েও ফেলেছে সেই পরিবার। বেঙ্গালুরুতেই সে রকম একটি পরিবার আছে যাঁদের সকলের পছন্দের রং লাল এবং সাদা।
পরিবারের কর্তার নাম সেভেনরাজ। বেঙ্গালুরুতেই বেড়ে ওঠা তাঁর। পেশায় একজন ব্যবসায়ী সেভেনরাজ। লাল এবং সাদা রং-ই কেন পছন্দ সেভেনরাজের, তার পিছনেও একটা রহস্য হয়েছে। সেভেনরাজ সংস্কারের বশেই লাল এবং সাদা রংকে জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়েছেন। যে রং নাকি তাঁর ব্যবসার ‘উন্নতি’র সঙ্গে জড়িত। ফলে সেই রংকেই তাঁর পছন্দের রং হিসেবে জীবনের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন সেভেনরাজ। তাঁর পরিবারও সেই রংকেই জীবনের রং হিসেবে মেনে নিয়েছে।
ফলে সেভেনরাজের অফিস, বাড়ি, আসবাবপত্র এবং ঘরের সাজসজ্জাও লাল এবং সাদা। বেঙ্গালুরুতে সেভনেরাজের পরিবারকে তাই সকলে ‘রেড অ্যান্ড হোয়াইট ফ্যামিলি’ হিসেবেই চেনেন।
এ তো গেল সেভেনরাজের রঙের বিষয়টি। তাঁর নামের পিছনেও একটা রহস্য রয়েছে। পরিবারের সপ্তম সন্তান সেভেনরাজ। তাই বাবা-মা শখ করে নাম রেখেছিলেন সেভেনরাজ। এই নাম থেকেই ৭ নম্বের প্রতি সেভেনরাজের একটা প্রীতি রয়েছে। সেই নম্বরের প্রতি গভীর আকর্ষণ থেকেই তাঁর ফোন নম্বর ৭ দিয়ে শুরু, গাড়ির নম্বরপ্লেট ৭৭৭৭ দিয়ে শেষ। শুধু তাই নয়, সেভেনরাজ যে ব্লেজার বা কোট পরেন সেগুলিতেও রয়েছে ৭টা করে বোতাম!
নাম, নম্বর এবং রঙের কারণে অনেকেই তাঁর কাজকে ‘পাগলামো’ বলে কটাক্ষ করেন। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না সেভেনরাজের। বরং এই ‘পাগলামো’তে মানুষের আকর্ষণই তাঁকে আনন্দ দেয় বলে দাবি সেভেনরাজের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy