গোল্ডেন মোদক। ছবি সংগৃহীত
সোনার মিষ্টি! সেই মিষ্টি শুধু দেখার বা দেখানোর জিনিস নয়, চাইলে কামড়ে খাওয়াও যাবে। তবে কামড় বসানোর আগে পকেট হালকা হবে বিস্তর। এমন মিষ্টি প্রতি কেজি ১২ হাজার টাকা দরে মহারাষ্ট্রের এক মিষ্টির দোকানে বিক্রি হচ্ছে। দাম শুনে যদি বা ঘাবড়েও যান, তবু পিছিয়ে আসছেন না ক্রেতারা। বরং সিদ্ধিদাতাকে তুষ্ট করতে ওই মহার্ঘ্য মিষ্টি কিনতেও নাকি নিয়মিত ভিড় হচ্ছে দোকানটিতে। অন্তত এমনই দাবি দোকানের মালিকের। তাঁরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক ডালা ১২ হাজারি বিক্রি করে শেষ করেছেন তাঁরা। ক্রেতাদের উৎসাহ দেখে আরও তৈরির অর্ডার দিয়েছেন। সোনায় মোড়া মিষ্টি অবশ্য স্বর্ণকার নয়, ময়রার হাতেই তৈরি হচ্ছে।
মিষ্টির নাম ‘গোল্ডেন মোদক’। গণেশ চতুর্থীতে সিদ্ধিদাতার ভোগে এই মোদক অত্যন্ত জরুরি উপকরণ। পুরভরা এই মিষ্টিকে তাঁদের আরাধ্য দেবতা গণপতির প্রিয় মিষ্টি বলেই মনে করেন মহারাষ্ট্রের মানুষ। তাই গণেশ চতুর্থীর সময়ে মোদক কেনার হিড়িক পড়ে। বিভিন্ন দোকানেই নানা অঙ্গে সাজিয়ে মোদক বিক্রি হয়। তাদের উপকরণ আলাদা। আলাদা স্বাদও। তবে এই প্রথম সিদ্ধিদাতার নিবেদনে সোনার মোদক দিচ্ছে মহারাষ্ট্র।
মহারাষ্ট্রের ওই মিষ্টির দোকানটি নাসিকে। নাম সাগর সুইটস। তারা জানিয়েছে, এ বছর তারাও ২৫ রকমের মোদক বানিয়েছে। চকোলেট, কাঠ বাদাম, কাজু, মতিচুরের মতো আরও নানারকম স্বাদ-গন্ধ-বর্ণের মোদক ঠাঁই পেয়েছে তাদের দোকানে। আর তার সঙ্গে রয়েছে গোল্ডেন মোদকও।
গোল্ডেন মোদক কি সোনা দিয়ে তৈরি? কী ভাবে মেশানো হয়েছে সোনা। তা কত ক্যারাটের? এ সব প্রশ্ন অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছেন দোকানের মালিক দীপঙ্কর চৌধুরি। তবে তিনি জানিয়েছেন, সোনার মোদকের পাশাপাশি রুপোর মোদকও বানিয়েছেন তাঁরা। যাঁরা কিছুটা কম খরচ করতে চান, তাঁরা ১ হাজার ৪৬০ টাকা কেজি দরে রুপোর মোদক কিনতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy