উপনির্বাচনে খারাপ ফলের ধাক্কা সামলাতে এ বার হাল ধরলেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে হিন্দুত্বের এজেন্ডা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে ফের বোঝানোর চেষ্টা করলেন, তিনি আছেন উন্নয়নেই।
আগামিকাল চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের জন্য আজই গুজরাতে পৌঁছে যান মোদী। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথম গুজরাতে এলেন তিনি। আশা ছিল, উপনির্বাচনে জয়ের আবহে ফের মোদীময় পরিবেশ তৈরি হবে। কিন্তু দিল্লি থেকে তিনি বিমান ধরার আগেই নানা রাজ্যে দলের পরাজয় হতাশা ছড়ায় বিজেপি শিবিরে। একশো দিনেই বিলোপ হয়েছে মোদী-ঝড়, এমন কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাঁকে। এর পরেই কার্যত দায় মাথায় নিয়েই হাল ধরতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গুজরাতে মোদী আজ বোঝানোর চেষ্টা করেন, উন্নয়নের পথ থেকে তিনি আদৌ সরে আসেননি। যে ‘সুদিন’-এর প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন, তার রূপায়ণ হবেই। তবে এত দিনের ঘুণ ধরা অর্থনীতির মোড় ঘোরাতে কিছুটা সময় লাগে।
যগোবলয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা ও দলের সভাপতি অমিত শাহ যে মেরুকরণের অঙ্ক সাজিয়েছিলেন, তা কাজে আসেনি। উল্টে বিরোধী দলগুলি এই অভিযোগ করেছে, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ উন্নয়নের পথ থেকে সরে এসে হিন্দুত্বের পথ ধরেছেন। খোদ বিজেপির ভিতরেই এখন বিতর্ক শুরু হয়েছে, উন্নয়নের পথ ছেড়ে মেরুকরণের রাজনীতির পথ ধরা আদৌ দরকার ছিল কি না।
লোকসভার আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি একশো দিনে যে সে ভাবে পালন করা যায়নি, সে কথা কার্যত মেনে নিয়ে মোদী বলেছেন, তিনি সততার সঙ্গে কাজ করছেন। আগামী দিনে দেশে সুশাসন ও উন্নয়নের এক নতুন পরিবেশ দেখা যাবে।
তবে উপনির্বাচনের ফলকে ঘিরে যখন কংগ্রেস সহ গোটা বিরোধী শিবির মোদী-ঝড় নিয়ে বিজেপির প্রচারকে নস্যাৎ করতে উঠেপড়ে লেগেছে, সেই সময় তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে আজ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এগিয়ে এসেছেন দেশের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
ভিয়েতনামে অনাবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা ও বিনিয়োগ টানার ব্যাপারে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে অনেক প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ টানার চেষ্টা করা হয়েছে। মার্কিন সফরেও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে ভাল আলোচনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রণববাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy