প্রতীকী ছবি।
প্রত্যাশার ঝুলি অপূর্ণই থেকে গেল আবাসন শিল্পের। মিলল না আর্থিক সুবিধা, এমনকী ‘শিল্প’ তকমাও। এই অবস্থায় কৃষি, পরিকাঠামো, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের দিকে পাল্লা ভারী বাজেট সার্বিক উন্নয়ন আনবে আর তার থেকে পরোক্ষ লাভ হবে তাদেরও— আশায় আপাতত বুক বাঁধছে আবাসন শিল্প।
এ দিন আবাসন শিল্পের প্রসঙ্গ হালকা ভাবেই ছুঁয়ে যান অর্থমন্ত্রী। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সেই খাতে নতুন ছাড়ের ঘোষণা হয়নি। অরুণ জেটলি জানান, এই প্রকল্পে চলতি আর্থিক বছরে গ্রামাঞ্চলে ৫১ লক্ষ এবং শহরাঞ্চলে ৩৭ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্কে এ জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ তহবিল, ‘অ্যাফোর্ডেবল হাউসিং ফান্ড’। তবে আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী আবাস প্রকল্পে টাকা দেওয়া চালু হয়েছে। আবাসন শিল্পের সরাসরি লাভ বলতে বাড়ি-জমি কেনাবেচার উপর আয়কর সরলীকরণের প্রস্তাব। বাজেটে বলা হয়েছে, কেনাবেচার মূল্য ও ‘সার্কল রেট’ বা সরকারের নির্ধারিত বাজার দরের ফারাক যদি ৫০ হাজার টাকা বা ৫ শতাংশের মধ্যে হয়, তা হলে কোনও কর দিতে হবে না। এত দিন এই ফারাকের উপর কর দিতে হত ক্রেতা ও বিক্রেতা, দু’পক্ষকেই।
২০২২-র মধ্যে সকলের জন্য ছাদ তৈরির যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে কেন্দ্র, তাতে আস্থা রাখছে আবাসন নির্মাণ সংস্থাদের সংগঠন ক্রেডাই। আশা করছে, এই পথেই তাজা হবে আবাসন শিল্প। স্মার্ট সিটি-র জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি, পরিকাঠামো খাতে নজর দিয়ে কর্মসংস্থান বাড়লে আবাসনের বাজার তৈরি হবে, আশা ক্রেডাইয়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy