নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
এই নিয়ে তৃতীয় বার! ফের জাতির জনকের নাম ভুল বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! তা-ও চম্পারণ সত্যাগ্রহের শতবর্ষ সমাপ্তি অনুষ্ঠানের মঞ্চে! এর আগেও অন্তত দু’বার দু’টি পৃথক মঞ্চে গাঁধীকে ‘মোহনলাল কর্মচন্দ গাঁধী’ বলেছিলেন মোদী। মঙ্গলবার চম্পারণ সত্যাগ্রহের শতবর্ষ সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় মোদী বলেন, ‘‘যখন দেশ দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ ছিল, তখন বিহারই মোহনলাল কর্মচন্দ গাঁধীকে মহাত্মা বানিয়েছে, বাপু বানিয়েছে।’’ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বারবার গাঁধীর নাম এ ভাবে ভুল বলায় ক্ষুব্ধ বিরোধীদের বক্তব্য, মোদীর উচিত এ সব ক্ষেত্রে অন্তত সতর্ক থাকা।
এই মঞ্চ থেকেও বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘একের বিরুদ্ধে অপরকে লড়িয়ে দেওয়ার’ অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন মোদী। মোতিহারিতে তিনি বলেন, ‘‘সংসদ থেকে রাজপথে এই বিভেদের রাজনীতিকে টেনে চলেছেন বিরোধীরা।’’ তাঁর অভিযোগ, গরিব মানুষকে গরিব করে রাখতেই বিরোধীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
একপাশে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, অন্য পাশে দলিত নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানকে বসিয়ে মোদী বলেন, ‘‘এমন অনেকে আছেন যাঁরা গরিবের আর্থিক উন্নয়নে চিন্তিত। কারণ তাঁদের উত্থান হলে তো বিরোধীদের মিথ্যা সাধারণ মানুষ ধরে ফেলবে।’’ এই প্রসঙ্গেই তিনি বিহারে নীতীশ-বিজেপি জোটের কথা টেনে বলেন, ‘‘নীতীশজি নিঃশব্দে দুর্নীতি ও অসামাজিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন।’’
আরও পড়ুন: আয়ে বিজেপির লাফ, নোটবন্দি না চাঁদার জোরে
বিহারের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের জেরে বিজেপির সঙ্গে নীতীশের দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। নীতীশকে পাশে নিয়ে সেই দূরত্ব মেটানোর চেষ্টা করেন মোদী। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে নীতীশ প্রকাশ্যেই জানান, সমাজে বিভেদ তৈরির রাজনীতির অংশ তিনি হবেন না। বিজেপি নেতারা মুখে কিছু না বললেও ঘনিষ্ঠ মহলে ফুঁসছিলেন। এ দিন মোদী সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।
সকালে পটনা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক ও নীতীশ। সেখান থেকে কপ্টারে মোতিহারি পৌঁছন তিনি। প্রায় ২০ হাজার স্বচ্ছভারত স্বেচ্ছাসেবকের উপস্থিতিতে গাঁধীজির স্বপ্নপূরণের উদ্দেশে মোদী দেশকে ‘আবর্জনামুক্ত’ করার ডাক দেন। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদী। মাধেপুরার রেল ইঞ্জিন কারখানার উদ্বোধনও এ দিনই করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy