আন্দোলনের অন্য রূপের জন্ম দিয়েছিল নির্ভয়া-কাণ্ড। ছবি: পিটিআই।
৯ মাস পর
১৩ সেপ্টেম্বর – বাকি চার অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত। এই ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে বিচারক যোগেশ খন্না চারজনকেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনালেন। অপরাধীদের আইনজীবীদের আর্জি খারিজ করে বিচারক খন্না বলেন, এই ঘটনা ‘‘ভারতবাসীর সমবেত বিবেককে ধাক্কা দিয়েছে। তাই আদালত চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারে না।’’
চার প্রাপ্তবয়স্ক ধর্ষক-খুনিই নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে সাজা কমানোর আর্জি জানায়।
২০১৪
১৫ মাস পর
১৩ মার্চ – দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি রেভা ক্ষেত্রপাল এবং প্রতিভা রানির বেঞ্চ বহাল রাখল নিম্ন আদালতের রায়।
১৫ মার্চ – মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, ন্যায্য বিচার হয়নি।
২০১৫
২ বছর ২ দিন পর
১৮ ডিসেম্বর – নাবালকের মুক্তিতে স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ, ছাড়া পেল নাবালক। সেলাই মেশিন কিনে নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য দেওয়া হল ১০ হাজার টাকা।
২২ ডিসেম্বর – রাজ্যয়সভায় পাশ হল জুভেনাইল জাস্টিস বিল – বলা হল ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে ১৬ বছরের উপর বয়স হলে হলে প্রাপ্ত বয়স্কদের সঙ্গেই বিচার হবে।
২০১৬
৩ বছর ৩ মাস পর
৩ এপ্রিল – ১৯ মাসের বিরতির পর সুপ্রিম কোর্টে ফাস্ট ট্র্যাক মোডে শুনানি শুরু বিচারপতি দীপক মিশ্র, গোপাল গৌড় এবং কুরিয়েন জোসেফের এজলাসে।
২০১৭
৪ বছর ১ মাস ১৮ দিন পর
৩ ফেব্রুয়ারি – নতুন করে মামলা শোনার সিদ্ধান্ত, কারণ দোষীদের আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক প্রক্রিয়া মেনে চলা হয়নি।
৪ বছর ৫ মাস পর
৫ মে – দিল্লি হাইকোর্টের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
ওই বছরই ডিসেম্বরের মধ্যে তিন অভিযুক্তই সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি দাখিল করল
২০১৮
সাড়ে ৫ বছর পর
৯ জুলাই – তিন ধর্ষক-খুনির সাজা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করল তত্কালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ।
২০১৯
৬ বছর ১১ মাস পর
১০ ডিসেম্বর– মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ফের সুপ্রিমে কোর্টের দ্বারস্থ অক্ষয় ঠাকুর
১৩ ডিসেম্বর– এই রিভিউ পিটিশনের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে গেলেন নির্ভয়ার মা
৭ বছর ২ দিন পর
১৮ ডিসেম্বর– অক্ষয় ঠাকুরের রিভিউ পিটিশন খারিজ শীর্ষ আদালতের
আদালতের কাছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারির আর্জি জানাল দিল্লি সরকার
১৯ ডিসেম্বর– ঘটনার সময় সে নাবালক ছিল, পবন গুপ্তর দাবি উড়িয়ে আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টের।
২০২০
সাত বছর ২২ দিন পর
৭ জানুয়ারি, ২০২০
পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়ে দিল ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় চার অপরাধী মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত এবং অক্ষয় ঠাকুরকে ফাঁসি দেওয়া হবে।
সাত বছর ৩২ দিন পর
১৭ জানুয়ারি, ২০২০
বিনয় এবং মুকেশের রায় সংশোধনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ফাঁসির দিন ধার্য হল। কিন্তু ফাঁসি হল না ওই দিনও। নতুন নতুন আবেদনের জেরে, এর পর ৩ মার্চ, তার পর ২০ মার্চ ফাঁসির দিন ধার্য করে দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট।
সাত বছর তিন মাস চার দিন পর
২০ মার্চ, ২০২০
ফাঁসি হয়ে গেল এই দশকের সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তোলা অপরাধ-কাণ্ডের চার অপরাধীর