তাজমহলের জনপ্রিয়তায় কি ভাটার টান পড়ছে? শুকনো পরিসংখ্যান ঘেঁটে সে রকম ইঙ্গিতই মিলেছে। দেশের প্রথম সারির ‘ডেস্টিনেশন’ তাজ-এ পা রাখতে নাকি ইতস্তত করছেন বিদেশি পর্যটকেরা! সপ্তদশ শতকের প্রেমের সৌধের টানে নাকি আর ভিড় জমাচ্ছেন না দেশ-বিদেশের মানুষেরা। টিকিট বিক্রির রেকর্ড দেখিয়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই) জানিয়েছে, গত তিন বছর ধরেই নাকি এই ট্রেন্ড চলছে।
পরিসংখ্যানের দিকে নজর ঘোরালে আগরায় তাজমহল দেখতে আসা পর্যটকদের আসল চিত্রটা বোঝা যাবে। ২০১২-তে তাজের টানে ছুটে এসেছিলেন ৭.৯ লাখ বিদেশি পর্যটক। পরের দু’বছরে এর ট্রেন্ড নিম্নমুখী। ’১৩ এবং ’১৪-তে যথাক্রমে ৭.৪ লাখ ও ৬.৯ লাখ। এএসআই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় যা ৬.৮ শতাংশ পড়েছে। যদিও ২০১০ থেকে ’১২-র মধ্যে এই গ্রাফটি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। সে সময়ের মধ্যে পর্যটকের ভিড় বাড়ছিল বছরে ১০-১৫ শতাংশ হারে। ২০১০-এর ৬.১ লাখ ট্যুরিস্টের তুলনায় পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬.৭ লাখে।
কেন কমছে তাজের ভিড়?
শুকনো তথ্যের কচকচি সরিয়ে এর আসল কারণ খুঁজতে গেলে আগরার পরিকাঠামোগত বেহাল দশাকেই দায়ী করছেন ওয়াকিবহাল মহল। এর সঙ্গে যোগ করুন দিন দিন বেড়ে চলা অপরাধের সংখ্যা এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতির বিষয়টিও।
ফেডারেশন অব ট্র্যাভেল অ্যাসোসিয়েশন অব আগরা-র প্রেসিডেন্ট রাজীব তিওয়ারির দাবি, “এখানে বিদেশিদের সঙ্গে কোন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে লেখা হয়।” সম্প্রতি শহরের একটি হোটেলে এক বিদেশি দম্পতি ড্রাগ ওভারডোজে মারা যান বলে অভিযোগ ওঠে। রাজীব তিওয়ারির মতে, এ ধরনের ঘটনায় নেগেটিভ পাবলিসিটি হয়।
তবে শুধুমাত্র ক্রমবর্ধমান অপরাধের ঘটনাই নয়, ট্র্যাভেল ইন্ডাস্ট্রি-র শীর্ষ কর্তারা মনে করেন, ট্র্যাফিক জ্যাম আর দূষণের জন্যও তাজের থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন বিদেশিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy