পদ্মনাভস্বামী মন্দির।
টান পড়েছে পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের কোষাগারে। কেরলের এই মন্দির দেশের ধনী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম। এর গুপ্তকক্ষে মজুত লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ। তবু মন্দির দেখভালের জন্য কেরল সরকারের প্রাপ্য টাকা তারা মেটাতে পারবে না বলে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। যুক্তি হিসেবে তাঁরা বলেছেন, করোনা কালে মন্দিরে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমেছে। তাই দানের পরিমাণও কমেছে। এই পরিস্থিতিতে কেরল সরকারকে টাকা দেওয়া সম্ভব নয় তাঁদের পক্ষে।
পদ্মনাভ স্বামীর মন্দিরের কাছ থেকে ১১.৭ কোটি টাকা প্রাপ্য কেরল সরকারের। এই টাকা তারা খরচ করেছিল মন্দিরের দেখভাল ও নিরাপত্তার জন্য। কথা ছিল সময়মতো ওই টাকা মন্দির কর্তৃপক্ষ মিটিয়ে দেবে কেরল সরকারকে। কিন্ত বাস্তবে তা হল না। পদ্মনাভ স্বামীর মন্দির কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টে টাকা না দিতে পারার আবেদন করলে আাদালত জানিয়ে দেয়, এ ব্যাপারে তাঁদের কিছু বলার নেই। মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুরোধ তাঁরা কেরল সরকারের বিবেচনার জন্য পাঠাবে। কেরল সরকার সেই অনুরোধ মেনে নেয় কি না তার উপরই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির হবে।
গত বছর জুলাই মাসে পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের পরিচালনার ভার ত্রিবাঙ্কুরের রাজ পরিবারের হাতেই রাখার পক্ষে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই হাতবদলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সময়ে মন্দিরের নিরাপত্তা ও দেখভালের ভার দেওয়া হয়েছিল কেরল সরকারকে। বলা হয়েছিল, এই প্রক্রিয়ায় সরকার যে টাকা খরচ করবে তা পরে মিটিয়ে দেবেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। জুলাই মাসেই মন্দির সংক্রান্ত বিষয় দেখাশোনা করার জন্য দু’টি অস্থায়ী কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারাই সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে তাঁদের কোষাগারে ঘাটতির কথা। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইউইউ ললিত এবং বিচারপতি ইন্দু মলহোত্রর বেঞ্চে মামলাটি ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy