চাপ, পাল্টা চাপ, এবং তার মধ্যেই ঝুলে রইল ভারত এবং পাকিস্তানের প্রস্তাবিত জাতীয় নিরাপত্তা পর্যায়ের বৈঠকের ভবিষ্যত্।
দুপুরে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দাবি করেছিলেন, ভারত-পাক আলোচনা কাশ্মীর প্রসঙ্গ থাকবেই। আর সেই বৈঠকের ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যে ভারত জানিয়ে দিল, কাশ্মীর নয়, শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ নিয়েই আলোচনা হবে বৈঠকে। শর্তে রাজি হলে তবেই যেন সরতাজ আলোচনার জন্য ভারতে আসেন। ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথাই বললেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
শনিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে সরতাজ আজিজ দাবি করেছিলেন, দুই দেশের আলোচনা কাশ্মীর প্রসঙ্গ ছাড়া সম্ভব নয়। বিনা শর্তে দিল্লি যাওয়ার কথা বললেও আলোচনায় কাশ্মীর প্রসঙ্গ রাখার ইঙ্গিত দিয়ে যেন শর্তই চাপিয়ে দিতে চাইছিলেন তিনি। বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানের দাবি উড়িয়ে দিয়ে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়ে দিলেন, আলোচ্যসূচিতে নতুন কিছু যোগ হওয়া সম্ভব নয়। তাঁর মতে, “উফায় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা আলোচনা করে বৈঠকের সূচি ঠিক করেছেন। তাতে সায় দিয়েছে দুই দেশই। এবং এই সূচি অনুযায়ী কোথাও কাশ্মীর প্রসঙ্গ নেই। শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা। এ কথা মাথায় রেখেই যেন আলোচনায় আসেন সরতাজ আজিজ।”
কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা শুধুমাত্র বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে হওয়া সম্ভব বলে জানিয়ে সুষমার দাবি, “সিমলা চুক্তি অনুযায়ী কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা শুধুমাত্র দুই দেশের মধ্যেই হবে। এর মধ্যে তৃতীয় কোনও পক্ষ থাকবে না। হুরিয়ত কখনওই তাই তৃতীয় পক্ষ হতে পারে না।”
ভারত যে কোনও ভাবেই এনএসএ পর্যায়ের বৈঠক বাতিল করতে চায় না, তা জানিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “উফার বৈঠকের পর ৯১ বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। এর পরে ঘটেছে উধমপুর, গুরদাসপুরের মতো সন্ত্রাসবাদী হামলা। যাতে সরাসরি পাকিস্তানের যোগ প্রমাণীত হয়েছে। এত কিছুর পরেও ভারত বৈঠক বাতিল করেনি।”
ইসলামাবাদকে ভারত কড়া বার্তা দিলেও এখনও কিন্তু স্পষ্ট হল না বৈঠক আদৌ হবে কি না। কাশ্মীর প্রসঙ্গ রাখার শর্তে পাকিস্তান অনড় থাকলে হয়ত বাতিলই হবে এই বৈঠক।