Advertisement
E-Paper

‘চৌকিদার’ বলতেই জনতার রব ‘চোর হ্যায়’

প্রায় তিরিশ বছর আগে এই গাঁধী ময়দানেই রাজীব গাঁধীর সভায় এসেছিলেন। তাঁর ভাষণ শুনে প্রভাবিত হয়ে কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:০২
টনার গাঁধী ময়দানে কংগ্রেসের সভামঞ্চে রাহুল গাঁধী। রবিবার। ছবি: পিটিআই।

টনার গাঁধী ময়দানে কংগ্রেসের সভামঞ্চে রাহুল গাঁধী। রবিবার। ছবি: পিটিআই।

গত রাতেই পটনায় এসে হাজির হয়েছেন জহনাবাদের অনিল শর্মা। বছর পঞ্চান্নের অনিল প্রায় তিরিশ বছর আগে এই গাঁধী ময়দানেই রাজীব গাঁধীর সভায় এসেছিলেন। তাঁর ভাষণ শুনে প্রভাবিত হয়ে কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন।

এরই মধ্যে গঙ্গা দিয়ে কয়েক লক্ষ গ্যালন জল বয়ে গিয়েছে। আদতে কংগ্রেসি পরিবারের ছেলে অনিল গত লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর প্রচারে গ্রামে গ্রামে ঘুরেছিলেন। ভেবেছিলেন, দিন পাল্টাবে। কিন্তু পাল্টায়নি! তাতেই ক্ষুব্ধ অনিল। রাহুলকে ঘিরেই ফের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

শুধু অনিল নয়, মোতিহারির সন্তোষ কুমার, মুজফফরপুরের বিনোদ ঝা, পটনার সালাউদ্দিনরা রাহুলের মধ্যেই আগামী দিনের নেতাকে দেখতে পাচ্ছেন। তাঁকে ঘিরেই স্বপ্নপূরণের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। সে কারণেই সকলেই হাজির হয়েছিলেন গাঁধী ময়দানে। আর রাহুলের ভাষণ শেষ হওয়ার পরে হাততালি থামতেই চাইছিল না। ভাষণে রাহুল ‘চৌকিদার’ বলতেই তাঁরা ‘চোর হ্যায়’ বলে সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠলেন।

আর এখানেই সভার সাফল্য বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এ দিন মাঠে কংগ্রেস চার লক্ষ লোককে হাজির করানোর লক্ষ্য রেখেছিল। পুলিশ কর্তাদের হিসেবে মাঠে লাখ দুয়েক মানুষের জমায়েত হয়েছিলই। আপাতত এটাকেই সাফল্য হিসেবে দেখাতে চাইছেন কংগ্রেস নেতারা। দলের এক নেতার কথায়, “পটনার গাঁধী ময়দানের হিসেবে হয়তো মাঠ গিজগিজ করেনি। কিন্তু বিহারে কংগ্রেসের একক ক্ষমতায় সভা সফল। অনেক পুরনো কর্মী এসেছেন। রাহুল গাঁধীর মধ্যে ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী দেখতে পাচ্ছেন। আর তাতেই আমরা খুশি।’’

এ দিনের সভার সঙ্গে ১৯৮৯ সালে রাজীব গাঁধীর সভার মিল খুঁজছিলেন পটনার বিস্কুট ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন। হুডখোলা জিপে হাত নাড়তে নাড়তে বিমান বন্দর থেকে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী রাজীব। এ বার রাহুল অবশ্য তা করেননি। সালাউদ্দিন বলেন, “নিরাপত্তার জন্য এখন তা সম্ভবও নয়।’’

এ দিন সভার নিরাপত্তার জন্য সাড়ে তিন হাজার নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করেছিল পটনা পুলিশ। এসএসপি গরিমা মালিক-সহ রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা হাজির ছিলেন। নিরাপত্তার বহর দেখেই বোঝা যায় কংগ্রেসের সভার প্রভাব কতটা ছিল। যদিও রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী বলেন, “সভায় ২৫ হাজার মতো লোক হয়েছিল। কংগ্রেস গুরুত্ব হারিয়েছে। মহাজোটের অভ্যন্তরে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া কংগ্রেস। সে কারণেই এই আয়োজন!”

Rahul Gandhi Narendra Modi Meeting Congress Patna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy