ছবি: সংগৃহীত
১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ। ২০০৬ সালের ১১ জুলাই। এই দুই দিনে একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বাণিজ্যনগরী। সেই ধাঁচেই লখনউ শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল ধৃত দুই আলকায়দা জঙ্গির। শুধু তাই নয়, রবিবার কিংবা সোমবারই ওই হামলার ছক কষা হয়েছিল, সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের এটিএস আইজি জিকে গোস্বামী। রবিবার তাঁর নেতৃত্বেই কাকোরির একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে যোগীরাজ্যের পুলিশ। গোপন সূত্রে ধারাবাহিক হামলার খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই হর্দোই, সীতাপুর, বরাবাঁকি, উন্নাও এবং রায়বরেলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ধৃত দুই জঙ্গির একজনের নাম মাসিরুদ্দিন, অন্যজনের নাম মিনহাজ। তারা যে বাড়িতে ঘাপটি মেরে ছিল, সেখানে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি প্রেসার কুকার বোমা, একটি ডেটোনেটর, ৬-৭ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এটিএস-এর আইজি জানিয়েছেন, ‘‘ওদের বাড়ি থেকে লাইভ বম্বও উদ্ধার হয়েছে। দুই জঙ্গির কাশ্মীর-যোগও মিলেছে। আজ কিংবা আগামিকালই লখনউ-সহ উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল ওদের।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, মাসিরুদ্দিন ও মিনহাজদের আস্তানায় মোট সাত জঙ্গি ছিল। শনিবার লখনউয়ে সতর্কতা জারি এবং তল্লাশি শুরু হওয়ার পরই পাঁচ জঙ্গি সেখান থেকে পালায়। ওই এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোস্বামী। উত্তরপ্রদেশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘‘ধৃত দুই জঙ্গির সঙ্গে আলকায়দার আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দ গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy