Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Narendra Modi

‘দেশে বিভাজন তৈরির চেষ্টা’, বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সতর্ক করলেন মোদী

মোদী জানান, যাঁরা দেশে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন, তাঁরা সফল হবেন না। বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে যখন দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে, তখন তাঁর এই মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

‘দেশে বিভাজন তৈরির চেষ্টা’, দাবি করলেন মোদী।

‘দেশে বিভাজন তৈরির চেষ্টা’, দাবি করলেন মোদী। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪০
Share: Save:

দেশে বিভাজন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বিষয়ে সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যাঁরা দেশে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন, তাঁরা সফল হবেন না। বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে যখন দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে, তখন প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশের শাসকদল বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, বিদেশি সংবাদমাধ্যমের তৈরি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ভারতীয় সমাজে বিভাজন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে। এ সবের প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে আবার ফিরে এল ‘বিভাজন’ এবং ‘একতা’র কথা।

শনিবার এনসিসির এক অনুষ্ঠানে দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের কারিয়াপ্পা ময়দানে উপস্থিত ছিলেন মোদী। সেখানেই তিনি জানান, দেশের উন্নতির একমাত্র চাবিকাঠি একতা। দেশের যুবশক্তির দিকে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে বলেও দাবি করেন তিনি। বিভাজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশকে ভাঙার জন্য নানা রকম চেষ্টা চলছে। ভারতমাতার সন্তানদের মধ্যে ভাগাভাগি করার চেষ্টা চলছে।” এ সব করেও দেশের লোকেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা যাবে না বলে দাবি করেন মোদী।

দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে। ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্রটি নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি। যদিও বিবিসির তরফে দাবি করা হয়েছে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। মোদী সরকারের ওই পদক্ষেপকে বিরোধী দলের নেতারা ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন।

কিছু দিন আগে কেন্দ্রের তরফে ইউটিউব এবং টুইটারের মতো সমাজমাধ্যম থেকে বিবিসি-র তথ্যচিত্রটির লিঙ্ক তুলে নেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়। পাশাপাশি, আইটি রুলস ২০২১-এর জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫০টির মতো টুইট তুলে নেওয়ার জন্যও কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi BBC Division
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE