ছবি টুইটার।
উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত— স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই লক্ষ্যপূরণে আগামী ২৫ বছরে ‘পঞ্চপ্রাণ’ অর্থাৎ, পাঁচটি সঙ্কল্পের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
পঞ্চ সঙ্কল্পের প্রসঙ্গে মোদী বলেছেন, ‘‘আগামী ২৫ বছর দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বড় সঙ্কল্প নিয়ে এগোতে হবে আমাদের। তবেই স্বপ্নপূরণ হবে।’’ পঞ্চ সঙ্কল্প কী কী, সে প্রসঙ্গও স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘আগামী দিনে পাঁচ বড় সঙ্কল্প নিয়ে এগোতে হবে আমাদের। প্রথম সঙ্কল্প হল ভারতের বিকাশ, দ্বিতীয় সঙ্কল্প দাসত্ব থেকে মুক্তি, তৃতীয় সঙ্কল্প উত্তরাধিকার নিয়ে গর্ব, চতুর্থ সঙ্কল্প ঐক্যবদ্ধ থাকা, পঞ্চম সঙ্কল্প নাগরিক কর্তব্যে অবিচল থাকা।’’
প্রথম সঙ্কল্প বিকশিত ভারতের কথা বলতে গিয়ে স্বচ্ছভারত অভিযান, টিকাকরণ কর্মসূচি, খোলা আকাশের নীচে মলত্যাগ বন্ধের মতো একগুচ্ছ কর্মসূচির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন মোদী। দ্বিতীয় সঙ্কল্প দাসত্ব থেকে মুক্তির প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষা নীতির কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্তির উপায় হল জাতীয় শিক্ষা নীতি। একই সঙ্গে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র তারিফও করেছেন তিনি।
তৃতীয় সঙ্কল্প ‘উত্তরাধিকার নিয়ে গর্ব’ প্রসঙ্গে দেশের নিজস্ব ঐতিহ্য নিয়ে প্রত্যেক দেশবাসীর গর্বিত হওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। চতুর্থ সঙ্কল্প ‘ঐক্যবদ্ধ থাকা’ বোঝাতে একতায় জোর দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নারীদের প্রতি সম্মান, বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। মোদীর পঞ্চম সঙ্কল্প, নাগরিকদের প্রতি কর্তব্যে অগ্রগতির পথ ত্বরান্বিত হয়।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে আত্মনির্ভর হওয়ার বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘‘বিদেশে তৈরি খেলনা বাতিল করছে শিশুরাও।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ভারত গণতন্ত্রের ধাত্রীভূমি। ৭৫ বছর ধরে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে দেশ। অনেক সঙ্ঘর্ষের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা প্রাপ্ত হয়েছে। বিশ্ব এখন ভারতকে অন্য নজরে দেখে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy