Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

অসহিষ্ণুতা নিয়ে মোদীকে বিঁধলেন প্রণব-সনিয়া

‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ পত্রিকার উদ্যোগে স্বাধীনতার সত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি, সনিয়া গাঁধী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। দর্শক আসনে ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও। সেখানেই গণপিটুনির একের পর এক ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৭ ০৩:২০
Share: Save:

কেউ নাম নিলেন না। কিন্তু পরোক্ষে দু’জনেরই নিশানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর দল বিজেপি। দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির বিরুদ্ধে শুক্রবার সরব হলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। আর ওই একই মঞ্চ থেকে নাম না করে অসহিষ্ণুতা নিয়ে মোদী ও তাঁর দলকে তোপ দাগলেন সনিয়া গাঁধী।

‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ পত্রিকার উদ্যোগে স্বাধীনতার সত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি, সনিয়া গাঁধী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। দর্শক আসনে ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও। সেখানেই গণপিটুনির একের পর এক ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘‘যখন উন্মত্ত ভিড় অযৌক্তিক ও নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে গণপিটুনি দেয়, তখন আমাদের একটু ভাবা উচিত, আমরা কি যথেষ্ট সতর্ক? আমাদের আরও সক্রিয় হয়ে দেশের মূল ভাবনাকে রক্ষা করতে হবে। সতর্কতাই অন্ধকার ও পশ্চাদগামিতাকে ঠেকাতে পারে।’’

আরও পড়ুন:মধ্যরাতের ভরা সভায় মোক্ষম খোঁচা প্রণবের

দাদরি থেকে অলওয়ার, হরিয়ানার বল্লভগড় থেকে ঝাড়খণ্ডের রামগড়— দেশের নানা প্রান্তে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে একের পর এক গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর প্রতিটি ঘটনাতেই অভিযুক্ত কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বিদেশেও। এ নিয়ে দীর্ঘ দিন নীরব থাকার পরে চাপের মুখে অবশেষে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বিরোধীদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর মুখের কথা যথেষ্ট নয়, বিশেষত যখন শাসক গোষ্ঠীর মদতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। তার প্রমাণ, প্রধানমন্ত্রী যে দিন এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে গণপিটুনিতে খুন হন এক জন। সে দিক থেকে আজ রাষ্ট্রপতির সরব হওয়ার ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

একই মঞ্চে রাষ্ট্রপতির আগে সনিয়া এ দিন মোদীর নাম না করেই তোপ দাগেন। তাঁর মতে, কে কী খাবে, কাকে ভালবাসবে, কী বলবে— সে সব নিয়ে একদল অসহিষ্ণুতা ছড়াচ্ছে। আর যাঁদের হাতে আইনরক্ষার ভার, তাঁরা একে মদত দিচ্ছেন! ভারত এখন বিপদে। এখন সরব না হলে নীরবতাকে সম্মতি বলে ধরে নেওয়া হবে। দেশের অপশাসন এখন বড় চ্যালেঞ্জ। স্বৈরতন্ত্র ও ব্যক্তির উচ্চাশা দেশের আত্মাকে নষ্ট করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE