ডিজেলের পরে এ বার রান্নার গ্যাস (এলপিজি) ও কেরোসিনের দামও প্রতি মাসে অল্প অল্প করে বাড়ানোর ইঙ্গিত দিল কেন্দ্র। রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে সিলিন্ডার পিছু ৫ টাকা করে এবং কেরোসিনে লিটারে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে কেন্দ্র। এই দু’টি জ্বালানি বাবদ প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি কমিয়ে আনতেই তেল মন্ত্রক এ ভাবে দাম বাড়ানোর পথে হাঁটতে চায় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, পূর্বতন ইউপিএ সরকার ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ডিজেলের দাম প্রতি মাসে লিটারে ৫০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কেন্দ্রে নতুন বিজেপি সরকার এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখার পরে একই ভাবে এলপিজি-কেরোসিনে ভর্তুকি কমিয়ে আনার পক্ষপাতী। তবে রান্নার গ্যাসের দাম প্রতি মাসে ৫ টাকা হারে বাড়ালেও প্রতিটি ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের জন্য ৪৩২.৭১ টাকা ভর্তুকি মুছে ফেলতে সময় লাগবে ৭ বছর। সেই কারণেই রাজনৈতিক অনুমোদন মিললে সিলিন্ডার পিছু দাম মাসে ১০ টাকা করেও বাড়তে পারে। পাশাপাশি, কেরোসিনে লিটার প্রতি ভর্তুকি ৩২.৮৭ টাকা। মাসে ১ টাকা করে দাম বাড়লে ওই ভর্তুকি শূন্যে নামিয়ে আনতে লেগে যাবে আড়াই বছরের বেশি।
রাজকোষের উপর সবচেয়ে বেশি ভর্তুকির বোঝা চাপে জ্বালানি খাতেই। চলতি অর্থবর্ষে ডিজেল, এলপিজি ও কেরোসিনে মোট ভর্তুকি ১,১৫,৫৪৮ কোটি টাকায় দাঁড়াবে বলে হিসাব করা হয়েছে। এর মধ্যে এলপিজি-র জন্য বরাদ্দ ৫০,৩২৪ কোটি টাকা, কেরোসিনে ২৯,৪৮৮ কোটি টাকা। বাজেট বরাদ্দ এবং ওএনজিসি-র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাছ থেকে নগদ নিয়ে এই ভর্তুকির খরচ মেটানো হয়।
তবে ২০১৩-র জানুয়ারি থেকে ডিজেলের দাম মাসে মাসে বাড়তে শুরু করার পরে ওই বছরের মে মাসে ভর্তুকি নেমে আসে লিটারে ৩ টাকায়। তার পর অবশ্য টাকার দাম পড়তে থাকায় ভর্তুকি সেপ্টেম্বরে বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.৫০ টাকা। এ বার সম্ভবত এই পথেই কেরোসিন, গ্যাসে ভর্তুকি কমাবে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy