বার্তা: গাঁধীর বেশে। রাঁচীতে বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র।
হিংসা-হানাহানির সঙ্গে আমার নাম জড়িও না— রাস্তায় নেমে এমন আওয়াজ তুলল রাঁচীও।
রাজভবনের সামনে সেই জটলায় সামিল হলেন ‘মোহনদাস কর্মচন্দ গার্ধী’! গাঁধীর পোশাকে আদপে বছর সত্তরের কোয়াসির এন কে জানির সঙ্গে নিজস্বী তোলার হিড়িক পড়ল ‘নট ইন মাই নেম’-এ হাজির সকলের।
দেশের অন্য প্রান্তের পাশাপাশি অসহিষ্ণুতার আঁচ ছড়িয়েছে ঝাড়খণ্ডে। গিরিডি, রামগড়ে গো-রক্ষকদের তাণ্ডবে গিয়েছে সাধারণ মানুষের প্রাণ। তাতে ক্ষুব্ধ রাজ্যবাসী। বৃহস্পতিবার প্রতিবাদে রাজপথে নামলেন তাঁরা। আমন্ত্রণ পেয়ে নয়াদিল্লি থেকে জমায়েতে এলেন জানি। সাজপোশাক শুধু নয়, তাঁর জীবনও গাঁধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত— এ কথা জানিয়ে জানি বলেন, ‘‘গাঁধীর পথে এগোলেই দেশ থেকে দূর হবে হিংসা, অশান্তি।’’
আরও পড়ুন: রামমন্দির দু’দিনেই বানাব, দাবি স্বামীর
চারপাশ থেকে বার বার লোকেরা তাঁকে ডাকছেন ‘বাপুজি, বাপুজি’ বলে। কেউ কেউ প্রণাম করছেন। গাঁধীর আদলেই তাঁদের আশীর্বাদ করলেন জানি। আর্জি মেটালেন নিজস্বীরও।
শ’চারেক মানুষের ভিড়ে ছিলেন টানা ভগতরাও। গাঁধীজির জীবনই অনুসরণ করে চলেন তাঁরা। গাঁধীজির পোশাকে জানিকে দেখে তাঁরা আপ্লুত। বিক্ষোভে সামিল রামচন্দ্র বলেন, ‘‘গাঁধীজিকে সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। ওঁকে দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy