কান্নায় ভেঙে পড়েছেন জাভরের আত্মীয়রা।
তেরঙ্গায় ঢাকা ছেলের কফিনের সামনে দাঁড়ালেন বৃদ্ধা। চারপাশের ভিড় মুহূর্তে নিশ্চুপ। বৃদ্ধা বললেন, ‘‘এমন বীর জওয়ানের মা হয়ে আমি গর্বিত। ও যে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে।’’
ভূস্বর্গে নিহত খুঁটির মাতম গ্রামে জাভর মুন্ডার বাড়িতে জমে থাকা ভিড় ঠিক তখনই ভারতমাতার জয়ধ্বনির সঙ্গে আওয়াজ তুলল — ‘শহিদ জাভর অমর রহে।’
আজ সকাল থেকে ঘরের এককোণে বসেছিলেন জাভরের মা সলামীদেবী। দাদার কফিনবন্দি দেহ বাড়িতে পৌঁছনোর পর সত্তরোর্ধ বৃদ্ধাকে উঠোনে নিয়ে আসেন ছোট ছেলে দাউর। চোখের জল মুছে ফেলে বৃদ্ধা বলেন, ‘‘সবাই ছেলের নামে জয়ধ্বনি করছে। খুব গর্ব হচ্ছে।’’
জাভরের বেতনেই চলত মুন্ডা পরিবার। দাউর বলেন, “দাদা চাইত, আমি যেন সেনাতেই যোগ দিই। ২৯ নভেম্বর বাহিনীর পরীক্ষা রয়েছে। ওর স্বপ্ন আমাকে পূরণ করতেই হবে।” দাদার এই পরিণতির পরও কি সিদ্ধান্ত বদলাবেন না? দাউরের জবাব, “আমাদের পরিবারের কেউ ভীতু নয়।” জাভরের স্ত্রী জাঙিদেবী ম্যালেরিয়ায় ভুগছেন। তিনি বলেন, “গোটা পরিবারকে অথৈ জলে ফেলে ও চলে গেল। ছোট তিন মেয়েকে নিয়ে কী ভাবে সংসার চালাবো তার কূলকিনারা পাচ্ছি না।”
গত রাতেই রাঁচি পৌঁছেয় জাভর মুন্ডা ও নয়মনের দেহ। নামকুমে সেনাশিবিরে শহিদ দুই জওয়ানের কফিমবন্দি দেহ রাখা হয়। এ দিন সকালে জাভরের দেহ খুঁটি ও নয়মনের দেহ গুমলায় নিয়ে যাওয়া হয়। গুমলা চকে নয়মনকে শেষ বারের মতো দেখতে রাস্তায় জমেছিল কয়েক হাজার মানুষের ভিড়। অনেকের চোখেই ছিল জল। এ দিকে, মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস দুই শহিদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ড বীর সন্তানদের জন্মভূমি। বিরসা মুন্ডা থেকে নয়মন, জাভর। দেশের জন্য তাঁদের আত্মবলিদান বিফলে যাবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy