তিন রাজ্যে ভোটে জেতার পরে চাঙ্গা কংগ্রেস কর্মীরা পটনায় রাহুলের সভা সফল করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। ছবি: পিটিআই।
প্রায় তিন দশক পরে একক শক্তিতে পটনার গাঁধী ময়দানে সভা করতে চলেছে কংগ্রেস। তিন রাজ্যে ভোটে জেতার পরে চাঙ্গা রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীরা সভা সফল করতে উঠেপড়ে লেগেছেন।
এই সভাকে কেন্দ্র করে কর্মী-সমর্থকের ভিড়ে ঠাসা প্রদেশ কংগ্রেস দফতর, সদাকত আশ্রম। বেজায় খুশি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মদনমোহন ঝা। কলকাতার সাংবাদিককে দেখে নিজেই ডেকে বললেন, “গাঁধী ময়দানে ব্রিগেডের চেয়েও বেশি লোক হবে দাদা। দেখে নেবেন, বিহার রাজনীতির ভোল পাল্টে দেবে এই সভা।” আপাতত চার লক্ষ মানুষকে জমায়েত করার লক্ষ্য মদনমোহনের।
তবে কংগ্রেসের একক সভা নিয়ে খুব একটা খুশি নয় জোট-সহযোগী আরজেডি, জিতনরাম মাঁঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি। সকলেই চাইছিলেন, একা কংগ্রেসের নয়, মহাজোটের সভায় নেতৃত্ব দিন রাহুল। আসলে একক এই সভাকে সামনে রেখে বিহারে নিজেদের দর কষাকষির ক্ষমতাটাই বাড়িয়ে নিতে চাইছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
বিহারে ৪০টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসন চাইছে কংগ্রেস। রাহুল গাঁধীর সভায় ভিড় হলে সেই দাবি আরও জোরদার করা হবে বলে মনে করছে বাকি শরিকরা। তাতে লোকসান হওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি আরজেডির। ইতিমধ্যেই দলের নেতারা বিভিন্ন সময়ে ২২টি আসনের কমে লড়বেন না বলে জানিয়েছেন। বাকি শরিকদের আসন দিতে হলে ছাড়তে হবে আরজেডিকেই। তবে শরিকদের কথায় কান দিতে এখনই নারাজ কংগ্রেস। দলের বিহারের পর্যবেক্ষক শক্তি সিংহ গোহিল বলেন, “বিহারে সমস্ত নেতা এক সঙ্গে কাজ করছেন। কংগ্রেস রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে রাজ্যে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। প্রায় ২৮ বছর পরে আমরা এখানে একা সভা করছি।’’ তবে তাঁর মতে, ‘‘রাজ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। মহাজোটের সকলকে নিয়েই তা ঠিক করা হবে। আপাতত
সভা সফল করাই আমাদের লক্ষ্য।” সভায় বেশ কয়েক জন নেতা অন্য দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলেও জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy