রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। —রয়টার্স।
রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। বৃহস্পতিবার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, রেপো রেট ৬.৫ শতাংশই থাকছে। বৃহস্পতিবার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতিনির্ধারণ বিষয়ক কমিটি (এমপিসি) সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আপাতত রেপো রেট বৃদ্ধি করা হবে না।
রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার কারণ হিসাবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতিতে অনেকটাই লাগাম পরানো গিয়েছে। কিন্তু সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির হার লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এখনও অনেকটাই বেশি। বর্তমান অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.১ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এই প্রসঙ্গে শক্তিকান্ত বলেছেন, “আমাদের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ শতাংশের উপরে থাকবে।” তবে মার্চ-এপ্রিল মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৭ শতাংশে পৌঁছে গেলেও, তা অনেকটা কমানো গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রেপো রেট বৃদ্ধি করে বাজারে কোনও নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে চাইছে না রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।
গত বছর মে মাস থেকে পর্যায়ক্রমে ২৫০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়িয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এপ্রিলে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশেই আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তের ফলে গৃহঋণ, গাড়ির ঋণ এবং অন্যান্য ঋণে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকছে। এতে মধ্যবিত্তের কিছুটা স্বস্তি মিলবে।
রেপো রেটের হারেই অন্য ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দিয়ে থাকে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। রেপো রেট বৃদ্ধি পেলে ঋণে মাসিক কিস্তির হারও বাড়িয়ে দেয় ব্যাঙ্কগুলি। রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত জানানোর পাশাপাশি, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.২ শতাংশ। এর আগে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক এই হার ৭ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy