Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
National News

চমকে দেওয়া উত্থান সত্ত্বেও উত্তর-পূর্বে কয়েক বছরেই উজাড় জোড়াফুলের বাগান

মণিপুর, অসম, অরুণাচলও সাড়া দিতে শুরু করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু এক দশকের মধ্যে উত্তর-পূর্বে তছনছ ঘাসফুলের বাগিচা। সাম্প্রতিকতম আঘাতটা এল অসম থেকে। উত্তর-পূর্ব ভারতে অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে গেল তৃণমূল।

এক দশকের মধ্যে উত্তর-পূর্বে তছনছ ঘাসফুলের বাগিচা। সাম্প্রতিকতম আঘাতটা এল অসম থেকে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

এক দশকের মধ্যে উত্তর-পূর্বে তছনছ ঘাসফুলের বাগিচা। সাম্প্রতিকতম আঘাতটা এল অসম থেকে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সিজার মণ্ডল ও ঈশানদেব চট্টোপাধ্যায়
কনকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৮ ১৯:১২
Share: Save:

সময়টা ২০০৯ থেকে ’১২। উত্তর-পূর্ব ভারত জুড়ে অভূতপূর্ব উত্থান শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তার কয়েক বছর আগে থেকে আসলে নিজের আঁতুড়েও তৃণমূলের পুনরুত্থান শুরু হয়েছিল। ২০০৪-এর লোকসভা নির্বাচনে এক সাংসদের দলে পরিণত হওয়া তৃণমূল ২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল বাংলায়। বাংলার মসনদে রং বদলের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছিল তখন থেকেই। মণিপুর, অসম, অরুণাচলও সাড়া দিতে শুরু করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু এক দশকের মধ্যে উত্তর-পূর্বে তছনছ ঘাসফুলের বাগিচা। সাম্প্রতিকতম আঘাতটা এল অসম থেকে। উত্তর-পূর্ব ভারতে অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে গেল তৃণমূল। কলকাতায়তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য উত্তর-পূর্বে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার তত্ত্ব নস্যাৎ করছেন।

অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশের পর থেকেই সুর চড়াতে শুরু করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘গৃহযুদ্ধ’-এরআশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। অসমে ফের ‘বাঙালি খেদা’ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। বাংলার বিভিন্ন এলাকায় রেল ও সড়ক অবরোধ করেছে তাঁর দল। তাঁর নির্দেশে সংসদের দুই কক্ষেই তুমুল হট্টগোল করেছেন তৃণমূল সাংসদরা। রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদদের ক্রমাগত বাধায় খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ভাষণ আটকে গিয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান স্পষ্ট। উদ্বাস্তুদের পাশে দাঁড়াতে তিনি বদ্ধপরিকর, জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। অসমে এনআরসি-র খসড়া থেকে যে ৪০ লক্ষ অসমবাসীর নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের সিংহভাগই আসলে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন। অসমে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একধিক বার মন্তব্য করেছেন ইতিমধ্যেই। সেই কারণেই অসমে আধাসেনা নামানো হয়েছে এবং ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে তাঁর মত।

আরও পড়ুন: উস্কানি দিচ্ছেন মমতা: সোনোয়াল

তৃণমূলনেত্রীর এই সব মন্তব্য কিন্তু অস্বস্তিকর হয়ে উঠছিল অসম তৃণমূলের সভাপতি দীপেন পাঠকের জন্য। দীপেন নিজে অন্তত তেমনই জানিয়েছেন। প্রাক্তন বিধায়ক তবু মুখ বুজেই ছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো প্রতিনিধি দল শিলচর বিমানবন্দরে নামার পরে আর থেমে থাকতে পারেননি দীপেন। সভাপতি পদ ছেড়ে দিয়েছেন, অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলও ত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগের পর নিজের বাড়িতে দীপেন পাঠক। নিজস্ব চিত্র।

দীপেন পাঠক তৃণমূল ছাড়ায় কি অসম থেকে মুছে গেল তৃণমূল? সে রাজ্যে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়ার মতো লোকজন কি আর রইল না তৃণমূলের হাতে? বাংলার এক তৃণমূল নেতা জানাচ্ছেন, ভারতীয় গণ পরিষদ নামে অসমভিত্তিকএকটি সংগঠন ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া অন্তেশ চৌধুরী এখনও দলেই রয়েছেন। তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।কিন্তু গুয়াহাটি সংলগ্ন কিছু এলাকায় দীপেন পাঠকের যেমন নিজস্ব একটা জনভিত্তি ছিল, অন্তেশদের কি তেমন কিছু রয়েছে? সন্দিহান বাংলার তৃণমূল নেতারাও।

২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় প্রায় ইতিহাস গড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩৪ বছরের বাম রাজত্ব ধূলিসাৎ করে দিয়ে ক্ষমতার দখল নেয় তৃণমূল। একই সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল অসমেও। সে রাজ্যের ইতিহাসেও প্রথম বার তৃণমূলের টিকিটে কেউ বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। হাজো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসা সেই বিধায়কের নাম ছিল দীপেন পাঠক। সেই দীপেনই ২০১৮ সালে পৌঁছে দল ছেড়ে দিলেন। প্রায় ফাঁকা করে দিলেন অসম তৃণমূলের রাজ্য কমিটি।

২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে হাজো থেকে আর জিততে পারেননি দুঁদে ব্যবসায়ী দীপেন। কিন্তু রাজ্য সভাপতি পদ তাঁর হাতেই ছিল। কলকাতায় সম্প্রতি একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ মঞ্চেও দীপেন হাজির ছিলেন। কী এমন হল যে, কলকাতা থেকে ফেরার দিন পনেরোর মধ্যে দলই ছেড়ে দিলেন অসম প্রদেশ তৃণমূলের সভাপতি? প্রাসাদোপম বাড়িতে বসে দীপেন বললেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসমের পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আমার কাছ থেকে কিছু জানতেও চাননি। যাঁরা পরিস্থিতি জানেন না, তাঁদের কথা শুনে তিনি অসম নিয়ে বেশ কিছু বিপজ্জনক মন্তব্য করলেন। এখানে প্রতিনিধি দলও পাঠিয়ে দিলেন। এর পরেও যদি তৃণমূলে থাকতাম, তা হলে অসমের মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে পারতাম না।’’

শুধু অসম তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির দলত্যাগের কারণে গোটা উত্তর-পূর্বে কি মুছে গেল তৃণমূল? উত্তর-পূর্বের রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, অসম থেকে বিপর্যয়ের শুরু নয়, বরং অসমটা ছিল বিপর্যয়ের শেষ পর্ব। শুরুটা হয়েছিল ২০১৪ সালে অরুণাচল প্রদেশ থেকে।

অরুণাচল থেকেই কিন্তু উত্তর-পূর্বে তৃণমূলের উত্থান শুরু। ২০০৯-এরবিধানসভা নির্বাচনে অরুণাচলে পাঁচটি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। চমকে গিয়েছিল বাংলাও। তার দু’বছর পরে অসম বিধানসভায় পা রাখে তৃণমূল। ২০১২-তে আরও বড় চমক। মণিপুর বিধানসভায় সাতটি আসন জিতে নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তত দিনে বাংলায়ও ক্ষমতায় এসে গিয়েছে তৃণমূল। ফলে দেশের পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তৃণমূল বড় শক্তি হিসেবে বিবেচিত হতে থাকে। জাতীয় দলের তকমাও পেয়ে যায় বাংলার শাসক দল।

২০১৪ সাল থেকে ক্ষয় শুরু। অরুণাচলের ভোটে পাঁচ থেকে শূন্য আসনে নেমে আসে তৃণমূল। ২০১৬ সালে অসমে হেরে যান একমাত্র তৃণমূল বিধায়ক। ২০১৭-য় মণিপুরে সাত থেকে একে নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেই এক জন বিধায়কও বিজেপি-তে যোগ দিয়ে দেন। ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিধানসভাগুলি তৃণমূল-শূন্য হয়ে পড়ে।

তার মধ্যে অবশ্য ত্রিপুরায় অন্য রকম হাওয়া বইতে শুরু করেছিল। ২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে ছয় বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই সাফল্যও হাতছাড়া হয়। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়করা ২০১৭-য় চলে যান বিজেপি-তে। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি পৌঁছে অসমে দলের রাজ্য সভাপতিও সপার্ষদ দল ছেড়ে দিলেন।

তখন তিনি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। দীপেন পাঠকের বসার ঘরের দেওয়ালে মমতার সঙ্গে তাঁর ছবি। নিজস্ব চিত্র।

উত্থান শুরুর মাত্র ৯ বছরের মধ্যে উত্তর-পূর্বে কেন এমন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার দশা হল তৃণমূলের? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনেকগুলি কারণের কথা বলছেন। প্রথমেই উঠে আসছে মুকুল রায়ের নাম। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে থাকাকালীন মুকুল রায়ই উত্তর-পূর্ব ভারতে সংগঠন বাড়ানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে দেশের ওই অংশে তৃণমূল দুর্বল হতে শুরু করে বলে অনেকে মনে করছেন।

দ্বিতীয়ত, উঠে আসছে বিচ্ছিন্নতার তত্ত্ব। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে তৃণমূল সাফল্য পেলেও দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ওই রাজ্যগুলির নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন না বলে অভিযোগ। ভোটের সময়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে উল্লেখযোগ্য অর্থসাহায্য করা বা উত্তর-পূর্বের তৃণমূল নেতাদের দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া তো হতই না, ওই সব রাজ্যে সংগঠন কী ভাবে চলছে, সে সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখার বিষয়েও তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের বিস্তর অনীহা ছিল বলে অভিযোগ। মুকুল রায়ের নিষ্ক্রমণের পরে উত্তর-পূর্বের তৃণমূল নেতারা আরও বেশি করে ‘অনাথ’ বোধ করছিলেন দলে, মত অসমে সদ্য দলত্যাগী এক নেতার।

তৃতীয়ত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে না পারা নিয়েও উত্তর-পূর্বের অনেক তৃণমূল নেতারই ক্ষোভ ছিল বলে জানা যাচ্ছে। দল ছাড়ার পরে দীপেন পাঠক অকপটেই জানালেন সে কথা। বললেন, ‘‘আমি কোনও দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারিনি। এ বারও একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে ছিলাম। তা-ও কথা বলার সুযোগ হয়নি।’’ দীপেন পাঠকের দাবি, দলনেত্রীর কাছে কোনও বার্তা পাঠাতে হলে বা তাঁর কাছ থেকে কোনও নির্দেশ পেতে হলে ফিরহাদ হাকিম বা অন্য কোনও নেতাদের তা জানাতে হত। দলত্যাগী রাজ্য সভাপতির কথায়, ‘‘এনআরসি-র খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পরেও দিদির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। হয়নি। ফিরহাদ হাকিম আমাকে এক দিন ফোন করে বললেন, কলকাতা থেকে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল অসম পৌঁছচ্ছে। আমি বললাম, খুব ভুল পদক্ষেপ হচ্ছে। দিদি কার কথা শুনে এ সব করছেন, জানি না। আমি একবার দিদির সঙ্গে কথা বলতে চাই। ফিরহাদ হাকিম বললেন, যা বলার আমাকে বলুন। আমি দিদিকে জানিয়ে দেব।’’

অসমে দল কী ভাবে চলবে, অসমের রাজনীতিতে তৃণমূল কী অবস্থান নেবে, সে বিষয়ে অসমের নেতাদের কাছ থেকে কোনও মতামতই নেওয়া হত না। দাবি দলত্যাগীদের। শুধু অসম নয়, উত্তর-পূর্বের অন্য রাজ্যগুলিতেও এক সময়ে তৃণমূলের হয়ে লড়তে নামা নেতাদের একই সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল বলে গুঞ্জন। তার জেরেই একে একে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে ইটানগর, ইম্ফল, আগরতলার তৃণমূল কার্যালয়। এনআরসি-র ধাক্কায় ফাঁকা হয়ে গেল গুয়াহাটিও।

আরও পড়ুন: দেশকে রক্ষা করেও বিদেশি! অপমানিত সেনা

তৃণমূল অবশ্য এই বিচ্ছিন্নতার তত্ত্ব নস্যাৎ করছে। ২০১২ সাল থেকে বছর দু’য়েক মণিপুরে তৃণমূলের সংগঠন সামলানোর দায়িত্ব বর্তেছিল যাঁর উপর সেই তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী মানতে নারাজ যে, উত্তর-পূর্বে তৃণমূল অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক জন নেতা বা বিধায়ক দল ছাড়লেই তো আর দলের জনভিত্তি ধসে যায় না। অসমে দীপেন পাঠক দল ছেড়ে গিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু অসমে তৃণমূলের জনভিত্তি এখন আগের চেয়ে অনেক মজবুত।’’

যদি আগের চেয়েও মজবুত হয় জনভিত্তি, তা হলে রাজ্য সভাপতি দল ছেড়ে চলে গেলেন কেন? আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর জবাব: ‘‘উত্তর-পূর্বের রাজনীতিতে অনেক রকম খেলা চলে। হিমন্ত বিশ্বশর্মা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়ার পরে সে সব অনৈতিক খেলা অনেক বেড়েছে। বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারকে কাজে লাগিয়ে চাপ দিচ্ছে। আরও নানা রকম বিষয় রয়েছে।’’

সৌরভ চক্রবর্তী যে সময় মণিপুরের দায়িত্বে ছিলেন, সে সময়েই ওই রাজ্যে তৃণমূল সাতটি আসন পেয়েছিল। সৌরভের দাবি, জোর করে তৃণমূলকে ভাঙানোর চেষ্টা হচ্ছে উত্তর-পূর্বে। তবে এনআরসি-র খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর তৃণমূল যে অবস্থান নিয়েছে, তাতে অসমে দলের শক্তি অনেকটা বাড়তে চলেছে বলে সৌরভ মনে করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগই করা যেত না বলে যে অভিযোগ দীপেন পাঠক তুলেছেন, তা উড়িয়ে দিয়ে সৌরভের মন্তব্য: ‘‘যে নেত্রী সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে গিয়ে কথা বলেন, দলের একজন রাজ্য সভাপতি সেই নেত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান না? এই অভিযোগ কেউ বিশ্বাস করবেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE