নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই
লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে আইন বা অধ্যাদেশ আনতে নরেন্দ্র মোদী উদ্যোগী হবেন, এমনটাই আশা করছে সঙ্ঘ পরিবার।
গত কাল এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার পরেই সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ করবে। তার পরেই আরএসএস জানিয়েছে, ২০১৪ সালে মোদীর উপরে আস্থা রেখেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে জনতা। ফলে এই সরকারের মেয়াদ ফুরনোর আগেই আইন এনে রামমন্দির নির্মাণ হোক। আজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অলোক কুমারও দাবি তুলেছেন, এখনই আইন এনে মন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত করুন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর মত বদলানোর জন্য তাঁরা লাগাতার আন্দোলন করবেন বলে জানান তিনি। এ মাসের শেষে প্রয়াগরাজে সাধুসন্তদের ধর্ম-সংসদে যা ‘আদেশ’ হবে, সেই পথেই চলবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। যদিও তার এক সপ্তাহ আগেই প্রয়াগরাজ যাচ্ছেন মোদী।
রামমন্দির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্য অবস্থান নিয়ে ঘরোয়া মহলে অবশ্য সঙ্ঘ পরিবারের নেতারা বলছেন, ‘‘মোদী এ ছাড়া আর কী-ই বা অবস্থান নিতে পারেন? তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। সাংবিধানিক পরিধির মধ্যেই তাঁকে কথা বলতে হয়। তার উপরে এখন সংসদের অধিবেশনও চলছে। ভোট ঘোষণার আগে আইন বা অধ্যাদেশের মতো কোনও সিদ্ধান্ত নিলেই আমরা খুশি।’’ অর্থাৎ সঙ্ঘ পরিবারের আশা, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাংবিধানিক পথে চলার কথা বললেও ভোট এগিয়ে এলে জনতার মন বুঝে মন্দিরের পক্ষেও কোনও পদক্ষেপ করবেন মোদী।
রামমন্দির নিয়ে হিন্দুত্বের হাওয়া তুলতে মোদী কি তা হলে সঙ্ঘের কোর্টেই বল ঠেললেন? বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, আসলে জল মাপতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। গত কয়েকটি ভোটে বিজেপির মন্দির আর হিন্দুত্বের রাজনীতি ধোপে টেঁকেনি। সেই কারণে মোদী এখন মন্দিরের আশা জিইয়ে রেখেই ভোটে যাওয়ার কথা বলছেন। আবার ভোট কাছাকাছি এসে গেলে সঙ্ঘ পরিবার যদি মন্দির নিয়ে চাপ তৈরি করতে পারে, তা হলে হয়তো সেই চাপের মুখেও পদক্ষেপ করবেন মোদী। যেটি অন্তত উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে বিজেপির পক্ষে সহায়ক হতে পারে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অলোক কুমার আজ বলেন, ‘‘মন্দির নির্মাণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বদ্ধপরিকর, সেই বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু তাঁর সময়সীমার সঙ্গে একমত নই। কারণ, আমরা দীর্ঘদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় থাকতে পারি না। সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি সংসদে তফসিলি জাতি-জনজাতি বিল এনেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী ‘এখন পদক্ষেপ করব না’ বলেছেন, কিন্তু আমাদের আশা তাঁর কাছেই। তাঁরই মন বদলাব।’’ ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ও রাহুল গাঁধীর সময় চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
কিন্তু ভোটের আগে সরকার আইন আনলেও সেটিকে যদি সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়? বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জবাব, তার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy