প্রতীকী ছবি।
টাকার অভাবে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ বন্ধ ছিল জল প্রকল্পের। ফলে জলের সমস্যা মিটছিল না গ্রামবাসীর। জলের সমস্যা মেটাতে এবার এগিয়ে এল সাইবাবা মন্দির ট্রাস্ট। নীলওয়ান্দে সেচ প্রকল্পের জন্য মহারাষ্ট্র সরকারের হাতে ৫০০ কোটি টাকা তুলে দিতে চলেছে ট্রাস্ট। মন্দির ট্রাস্ট এই টাকা অবশ্য ঋণ হিসাবেই দিচ্ছে। তবে ঋণ পরিশোধ করার জন্য কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। এর জন্য কোনও সুদও লাগবে না বলে জানিয়েছে ট্রাস্ট।
নীলওয়ান্দে সেচ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার আকোল, সাঙ্গামনার, রাহুরি, কোপারগাঁও এবং শিরডি মতো গ্রামগুলি জলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। প্রকল্প সম্পূর্ণ হতে লাগবে ১২০০ কোটি টাকা। কিন্তু এত টাকার জোগাড় না করতে পারায় এতদিন বন্ধই ছিল প্রকল্পের কাজ। ফলে গ্রামগুলো জলের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাচ্ছিল না।
এর পরই ট্রাস্টের কাছে ঋণের জন্য আবেদন করে মহারাষ্ট্র সরকার। ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন বিজেপি নেতা সুরেশ হাওয়ারে। ১ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের উপস্থিতিতে মন্দির ট্রাস্টের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে দুই কিস্তিতে ঋণ দিতে সম্মত হয় মন্দির ট্রাস্ট। শনিবার সাইবাবা মন্দির ট্রাস্ট এবং গোদাবরী-মরাঠাওয়াড়া সেচ উন্নয়ণ নিগম চুক্তিতে সই করেছে।
আরও পড়ুন: ভোপালের স্ট্রং রুমে এক ঘণ্টারও বেশি বন্ধ ছিল সিসিটিভি, মেনে নিল নির্বাচন কমিশন
মহারাষ্ট্র সেচ দফতরের এক সিনিয়র অফিসার জানান, সম্পূর্ণ প্রকল্পের জন্য যা খরচ তার অনেকটাই মন্দির ট্রাস্ট ঋণ দিচ্ছে। ফলে আটকে থাকা কাজটা খুব তাড়াতাড়ি শেষ করা যাবে বলে মনে করছেন সেচ দফতরের ওই অফিসার। আর বাকি যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তারও ব্যবস্থা করার জন্য কথাবার্তা চলছে।
আরও পড়ুন: ফসল বিমায় দুর্নীতি! মোদীর বিরুদ্ধে নতুন তোপ দাগলেন রাহুল
শিরডি মন্দির ট্রাস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার ভক্ত এই মন্দির দর্শনে আসেন। আর উৎসবের দিনে সংখ্যাটা সাড়ে তিন লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। মন্দিরের দৈনিক আয় ২ কোটি টাকা। বার্ষিক আয় ৭০০ কোটি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy