এনডিএ-এর শুরু থেকে বিজেপি-র সঙ্গী তারা। সবচেয়ে পুরনো শরিক। শাসক জোট ছাড়ার পর সুদীর্ঘ ২৪ বছরের গেরুয়া ছোপকে দূর করতে এ বার ‘অতিরিক্ত’ উদ্যোগী শিরোমণি অকালি দল (এসএডি)। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, আপাতত পঞ্জাবে তো বটেই, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অকংগ্রেসি, অবিজেপি ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে বিজেপি-র মৈত্রী চিহ্ন ঘোচাতে তৎপর তারা। সেই সঙ্গে নিজেদের ‘ধর্মনিরপেক্ষ আঞ্চলিক শক্তি’ হিসাবে তুলে ধরে ২০২২ সালের পঞ্জাব ভোটে নিজেদের অবস্থান মজবুত করাটাই লক্ষ্য দলনেতা সুখবীর সিংহ বাদলের।
অকালি সূত্রের খবর, দলীয় নেতৃত্বের তরফে তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তাতে রয়েছেন দলের রাজ্যসভার সদস্য নরেশ গুজরাল। এই কমিটি অন্যান্য বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই, এনসিপি-র শরদ পওয়ার, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, বিজেডি-র ভ্রাতৃহরি মহতাবের সঙ্গে কথা হয়েছে এই কমিটির।
জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল, মায়াবতীর বিএসপি এবং বাম দলগুলির সঙ্গেও শীঘ্রই বৈঠক করবেন তাঁরা। পঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় বিএসপি এবং বাম দলের কিছু প্রভাব রয়েছে। অকালি তাদের সঙ্গে জোট করে আগামী বিধানসভা লড়াইয়ের কথা বিবেচনা করছে বলে জানা গিয়েছে। ওই কমিটির অন্যতম সদস্য, দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেম সিংহ চান্দুমাজরা বলছেন, “ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিজেপি দিনের পর দিন সেটাকে দুর্বল করেছে। কেন্দ্রের সাম্প্রতিক একের পর এক পদক্ষেপে এটা প্রমাণিত যে তারা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ছুঁড়ে ফেলে একনায়কতন্ত্রের প্রবর্তন করতে চায়।“ তাঁর কথায়, “আমরা এখন বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। আঞ্চলিক স্পর্শকাতরতার দিকটিকে সুরক্ষিত রাখতে পরস্পরের হাত ধরার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছি।’’