Advertisement
০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
karala

Kerala Flood: বৃষ্টি পরবর্তী ধসে ২১ জনের মৃত্যু কেরলে, পাঁচ জেলায় জারি লাল সতর্কতা

রবিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও মেনে নিয়েছেন রাজ্যের পরিস্থিতি বেশ গুরুতর। সাম্প্রতিক কালে এই রকম বৃষ্টি বহু দিন হয়নি কেরলে।

কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও মেনে নিয়েছেন পরিস্থিতি বেশ গুরুতর।

কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও মেনে নিয়েছেন পরিস্থিতি বেশ গুরুতর। ছবি : টুইটার থেকে।

সংবাদ সংস্থা
তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২১ ১১:২৬
Share: Save:

অতি ভারী বৃষ্টি আর তার জেরে হওয়া ধসে বিধ্বস্ত কেরল। আরবসাগরে ঘনিয়ে ওঠা নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে দক্ষিণের রাজ্যটির মধ্য এবং দক্ষিণ প্রান্তের জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই হড়পা বান শুরু হয়েছে। কেরলের প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃষ্টি পরবর্তী ধসে রাজ্যে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। নিখোঁজ আরও বহু।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, রবিবার সকাল পর্যন্ত কেরলে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। পরবর্তী দু’দিনে ধীরে ধীরে বৃষ্টির তীব্রতা কমবে। এই মর্মে কেরলের পাঁচটি জেলায় তাঁরা লাল সতর্কতা জারি করেছিলেন। রবিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও মেনে নিয়েছেন পরিস্থিতি বেশ গুরুতর। সাম্প্রতিক কালে এই পর্যায়ের বৃষ্টি বহুদিন হয়নি কেরলে।

রবিবার সকালে অবশ্য শুধু কেরল বা দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে নয়, উত্তরের বেশ কয়েকটি রাজ্যেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকাও রয়েছে। উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল এবং পঞ্জাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে লাল এবং কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। তবে এর মধ্যেও কেরল নিয়ে চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে।

বৃষ্টি থেকে হওয়া ধসে কেরলে যে সব দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি মূলত কোট্টায়াম এবং ইদ্দুকি জেলার। এই দুই জেলা এবং পথনমথিট্টার পাহাড়ি এলাকাগুলিতেই বন্যা হয়েছে এবং ধস নেমেছে সবচেয়ে বেশি। কেরলের বেশ কিছু নদীও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কোট্টায়াম এবং ইদ্দুকি জেলায় একটি নদী প্লাবিত হয়ে বেশ কয়েকটি গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এর উপর রবিবার বাঁধের জল ছাড়ার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে কেরল প্রশাসন। বেশ কয়েকটি বাঁধের ধারণ ক্ষমতা অতিক্রম করে যাওয়ায় জল ছাড়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আগামী দু’দিন বৃষ্টি কমলেও বন্যা পরিস্থিতি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই কেরলে।

পরিস্থিতি সামলাতে নদী এবং উপকূল এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের। সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা এবং নৌবাহিনীর একটি দল ইতিমধ্যেই কোট্টায়ামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর এমআই-১৭ এবং সরং হেলিকপ্টার বন্যাকবলিত এলাকায় পৌঁছলেও খারাপ আবহাওয়ার জন্য উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE