Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে নাম উঠল স্মৃতির

দিল্লিতে ভোটের আগে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য আকস্মিক ভাবেই উঠে এল কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির নাম। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ অবশ্য মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার ধাঁচেই দিল্লিতে ভোটের আগে আপাতত কোনও মুখকে সামনে না রেখে এগোনোর কৌশল নিয়েছেন। কিন্তু ভোটের পর কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে দিল্লি বিজেপি নেতাদের সঙ্গে এক প্রস্ত আলোচনা সেরে ফেলেছেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৪০
Share: Save:

দিল্লিতে ভোটের আগে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য আকস্মিক ভাবেই উঠে এল কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির নাম।

বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ অবশ্য মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার ধাঁচেই দিল্লিতে ভোটের আগে আপাতত কোনও মুখকে সামনে না রেখে এগোনোর কৌশল নিয়েছেন। কিন্তু ভোটের পর কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে দিল্লি বিজেপি নেতাদের সঙ্গে এক প্রস্ত আলোচনা সেরে ফেলেছেন তিনি। সমস্যা হল, সেখানে প্রায় আধ ডজন নেতা মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হতে চাওয়ায় বাইরে থেকে স্মৃতি ইরানির মতো কাউকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে। দিল্লি বিজেপি নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি তাঁরা কলহ মেটাতে না পারেন, তা হলে স্মৃতির মতোই কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করার কথা দল বিবেচনা করবে।

অতীতেও দিল্লিতে নির্বাচন লড়েছেন স্মৃতি। দিল্লি বিজেপির এক নেতা বলেন, “স্মৃতিকে মুখ্যমন্ত্রী করা নিয়ে দলের নেতৃত্ব কতটা সিরিয়াস, আর এ সবের কতটা খেয়োখেয়ি বন্ধ করার কৌশল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।” সেই নেতার কথায়, দিল্লিতে দলের সব থেকে বড় সমস্যা হল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, রাজ্য সভাপতি সতীশ উপাধ্যায়, বিজয় গয়াল, জগদীশ মুখী, মীনাক্ষি লেখি, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বিজেন্দ্র গুপ্তর মতো অনেকেই এই দৌড়ে নিজেদের এগিয়ে রাখতে চাইছেন। দিল্লিতে এঁরা সকলেই কম-বেশি ওজনদার নেতা। আর এদের মধ্যে সম্পর্কও সাপে-নেউলের।

লোকসভায় দিল্লির সাতটি আসনেই বিজেপি জিতলেও ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। এই অবস্থায় বিজেপি যাতে বিধানসভা নির্বাচনে একার জোরেই সরকার গড়তে পারে, তা নিয়ে চিন্তিত দলের শীর্ষ নেতারা। কিছু দিন আগেই হর্ষ বর্ধনকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী অপেক্ষাকৃত লঘু মন্ত্রক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পাঠিয়েছেন। ফলে তাঁকেই দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করার সম্ভাবনা দেখছিলেন বিজেপির একাংশ। কিন্তু যে ভাবে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় নরেন্দ্র মোদী নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়েছেন, হর্ষবর্ধনের ক্ষেত্রে তাঁর সেই আস্থা আদৌ রয়েছে কি না, তা নিয়ে বিজেপির ভিতরেই প্রশ্ন রয়েছে। আর এক নেতা জগদীশ মুখী বয়সের কারণে আটকে যেতে পারেন। বাকিরা এক জন অন্যকে ঠেকাতে মরিয়া। এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহের প্রধান লক্ষ্য সব নেতাকে একজোট করা। হয়তো সে কারণেই উঠে এল স্মৃতির নাম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE