সুপ্রিম কোর্ট ফাইল চিত্র।
কোভিডের টিকাকরণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে চলছিল করোনা রোগীদের ওষুধ, অক্সিজেন এবং টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি। সেখানেই শীর্ষ আদলতের এক গুচ্ছে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রের সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহতাকে।
করোনাভাইরাসের টিকাকরণ নিয়ে কেন্দ্রের নীতির ব্যাপারেও সোমবার জানতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতিদের বেঞ্চ তুষারকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘বিভিন্ন রাজ্য বিদেশের টিকা পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র চাইছে। রাজ্যগুলি নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় নামুক এটাই কি কেন্দ্র চাইছে?’’ রাজ্য এবং কেন্দ্রের জন্য টিকার দু’রকম দাম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতিরা। তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলেছেন, ‘‘কেন রাজ্যগুলিকে বেশি দামে টিকা কিনতে হবে? কেন্দ্রকেই গোটা জাতির দায়িত্ব নিয়ে হবে।’’
১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণে কেন্দ্র যে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না, সে ব্যাপারটিও নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, ‘‘’৪৫ বছরের ঊর্ধ্বদের টিকা নেওয়া নিশ্চিত করছে কেন্দ্রে। কিন্তু ১৮ থেকে ৪৪ বছর বসয়িদের মাত্র ৫০ শতাংশ টিকা নিশ্চিত করছে কেন্দ্র। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালের ভরসায়। কিন্তু কোভিজের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা যথেষ্ট বেশি। কিন্তু এ ব্যাপারে কেন্দ্র কেন উদ্যোগ নিচ্ছে না?’’
টিকা নেওয়ার জন্য কোউইন অ্যাপে নথিভুক্তকরণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষরা কী এই অ্যাপে নথিভুক্ত করতে সক্ষম? ডিজিটাল ডিভাইডের প্রসঙ্গ তুলে এই বিষয়টি নিয়েও সোমবার কেন্দ্রের জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, ‘‘প্রত্যন্ত গ্রামে যে সব মানুষ থাকেন, তাঁরা কী ভাবে এই অ্যাপ বা পোর্টালের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করবেন?’’ এর উত্তরে সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘‘তাঁরা কোনও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা সাইবার ক্যাফে থেকে নাম নথিুভুক্ত করতে পারেন।’’ এর উত্তরে শীর্ষ আদালত প্রশ্ন করে, ‘‘এই সমাধান কি বাস্তব সম্মত?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy