সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
শিশুদের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন (পকসো) সম্পর্কে বম্বে হাইকোর্টের ‘ব্যাখ্যা’য় সায় দিল না সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ বিষয়ে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
গত ১৯ জানুয়ারি নাগপুর বেঞ্চের মহিলা বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা তাঁর রায়ে বলেছিলেন, শিশুদের ক্ষেত্রে জামাকাপড় খুলে বা জামাকাপড়ের ভিতরে হাত গলিয়ে বুক বা গোপনাঙ্গ স্পর্শ না করা হলে তা পকসো আইনের আওতায় পড়বে না।
১২ বছরের এক কিশোরীর পোশাকের উপর দিয়ে বুকে হাত দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘অঙ্গপ্রবেশ (পেনিট্রেশন) না ঘটিয়ে, পোশাক খুলিয়ে বা পোশাকের ভিতরে হাত না গলিয়েও যদি যৌনতার উদ্দেশ্যে কোনও শিশুর গোপনাঙ্গ স্পর্শ করা হয়, তবে যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে।’’
পকসো আইনের ৮ নম্বর ধারা মোতাবেক ওই মামলার অভিযুক্তের ৩ বছর জেল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইনের নতুন ব্যাখ্যা দিয়ে বিচারপতি তাঁর রায়ে বলেন, ‘সরাসরি ত্বকের সঙ্গে ত্বকের ছোঁয়া না লাগলে পসকো আইনে অভিযোগ আনা যাবে না’। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবং ৩৪২ নম্বর ধারা মোতাবেক ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারপতি পুষ্পা।
বম্বে হাইকোর্টের ওই রায় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। বুধবার শুনানিপর্বে কেন্দ্রের তরফে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। শীর্ষ আদালতকে তিনি বলেন, ‘‘এই রায় একটি বিপজ্জনক নজির সৃষ্টি করবে।’’ অ্যাটর্নি জেনারেলের আবেদন মেনে ওই মামলায় নাগপুর বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে মহারাষ্ট্র সরকার এবং সাজাপ্রাপ্তের মতামত জানতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy