মহম্মদ জুবের। ফাইল চিত্র।
বিতর্কিত টুইট মামলায় ধৃত সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরের জামিনের শুনানির আবেদন গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি জে কে মহেশ্বরীর একটি অবকাশকালীন বেঞ্চ জানিয়েছে, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এন ভি রমণার ছাড়পত্রের ভিত্তিতে আবেদনটি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হবে। শীর্ষ আদালত সূত্রের খবর, শুক্রবারই খবরের সত্যতা যাচাই করার সংবাদমাধ্যম অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুবেরের জামিনের আবেদনের শুনানি হতে পারে।
জুবেরের ২০১৮ সালের একটি টুইটে ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে’, এই অভিযোগে দিল্লি পুলিশ গত রবিবার (২৬ জুন) তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। ২৭ জুন তাঁকে এক দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। ফের জেরার জন্য দিল্লি পুলিশ জুবেরকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানালে ২৮ জুন বিচারক আরও চার দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ায় গত শনিবার দিল্লির পটিয়ালা আদালতে জুবেরের তরফে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। কিন্তু মুখ্য বিচারবিভাগীর ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা শ্রীবাস্তব দিল্লি পুলিশের আবেদনে সাড়া দিয়ে জুবেরকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন জুবের। তাঁর তরফে আইনজীবী কলিন গঞ্জালভেস বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমরা জরুরি ভিত্তিতে আবেদনের শুনানির জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছি।’’ পাশাপাশি তাঁর মক্কেলকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন কলিন।
এরই মধ্যে গত ১ জুন ‘হিন্দু শের সেনা’ নামে একটি সংগঠনের ভগবান শরন উত্তরপ্রদেশের জুবেরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫-এ (ইচ্ছাকৃত এবং অসৎ উদ্দেশ্যে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা) এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৭ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত সপ্তাহে ধৃত জুবেরের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ এনেছে দিল্লি পুলিশও। তার মধ্যে রয়েছে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ ধ্বংস করা।
সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনের (ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট বা এফসিআরএ) ৩৫ নম্বর ধারা অমান্যেরও অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ, বিধি ভেঙে পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং সৌদি আরব থেকে আর্থিক অনুদান নিয়েছেন জুবের। যদিও অল্ট নিউজের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিজেপি নেত্রী (বর্তমানে সাসপেন্ডেড) নূপুর শর্মা যে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বিতর্কিত মন্তব্য করেন, তা জুবেরই প্রথম নেটমাধ্যমে প্রকাশ্যে এনেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy