রাঁচীতে লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরলেন না তেজপ্রতাপ। বাড়িতে সকলে অপেক্ষায় থাকলেও অনেক ক্ষণ কোনও খবর ছিল না তাঁর। বন্ধ ছিল ফোনও। আজ সকালে বাড়িতে ফোন করে জানালেন, বাবা বিশ্বনাথের দর্শন করতে বারাণসীতে পৌঁছেছেন। গত কাল গভীর রাত পর্যন্ত রাবড়ীদেবীর বাড়িতেই অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি। জামাইকে বোঝাতে চাইছেন তাঁরা। কিন্তু কোনও কথা শুনতেই রাজি নন তেজপ্রতাপ। স্ত্রী ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে এখনও অনড় তিনি।
বাবা, লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে রবিবার রাতেই রাঁচী থেকে বুদ্ধগয়ায় পৌঁছন তেজপ্রতাপ। শরীর খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। বুদ্ধগয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক মনোজ কুমার হোটেলে এসে তাঁকে পরীক্ষা করেন। তেজপ্রতাপের সঙ্গে ছিলেন চার-পাঁচ জন সঙ্গী। দু’টি ঘর বুক করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে নিয়ে গতকাল তিনটে নাগাদ রওনা দেন তিনি।
গত রাতে পটনায় পৌঁছনোর কথা ছিল তেজপ্রতাপের। তাঁকে ফেরানোর জন্য সমস্ত চেষ্টাই করেছিলেন পরিবারে সকলে। পটনার বাড়িতে ঐশ্বর্যের মুখোমুখি হওয়ারও কথা ছিল তেজপ্রতাপের। দু’পক্ষকে বসিয়ে বিরোধ মেটানোর জন্য আরজেডি নেতারাও উদ্যোগী হন। বুদ্ধগয়ার হোটেলে তেজপ্রতাপের সঙ্গে দেখা করেন স্থানীয় আরজেডি বিধায়ক কুমার সর্বজিৎ। তাঁকে পটনা ফিরবেন বলেই জানিয়েছিলেন তেজপ্রতাপ। সর্বজিতের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন বাড়ির লোকেরা। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়েই বারাণসীর পথ ধরেন তেজপ্রতাপ।