ওড়িশার কলাহান্ডিকে নতুন ভাবে চেনালেন সেখানকার আদিবাসী নৃত্যশিল্পীরা। চাইবাসার জেলা স্কুল মাঠে ‘ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা’ আয়োজিত ‘ট্রাইবাল ড্যান্স মিউজিক ও থিয়েটার’-এর অনুষ্ঠান মঞ্চে। ঢোল, মাদলের ছন্দে ঘুমুরা নাচে মজলেন দর্শকরা। শিল্পীরা জানালেন, ওই আঙ্গিকের নাচ তাঁদের জেলায় মনোরঞ্জনের মূল রসদ। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেই তাঁরা ওই নৃত্যশৈলীকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
উৎসবে সামিল অন্য রাজ্যের আদিবাসীরাও। উদ্বোধন করেন দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার চেয়ারম্যান তথা বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রতন থিয়াম। তিনি বলেন, ‘‘বৈচিত্র্যে ভরা আদিবাসীদের নাচ, গান, নাটককে হারিয়ে ফেললে চলবে না।” মঙ্গলবার ছিল ঝাড়খণ্ড স্থাপন দিবস। সে দিনই শুরু হয় তিন দিনের অনুষ্ঠান।
চাইবাসার বাসিন্দা অচিন্ত্য মুখোপাধ্যায় সপরিবার এসেছিলেন। তিনি বলেন, “আদিবাসী সংস্কৃতির ইতিহাসকে নতুন করে চিনলাম।” উৎসবে সামিল শিল্পী নির্মলী হাজং বলেন, “প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমাদের শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছি।”
কিন্তু শিল্পীদের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে কেন? প্রশ্ন তুলে রতন থিয়াম বলেন, “সরকারের দায়িত্ব শিল্পের পরিকাঠামোর উন্নত করা। আর্থিক ভাবে শিল্পীরা যাতে বঞ্চিত না হন, তা নজর রাখতে হবে।”