তাঁরা অনেক আগে মানুষ মারতেন। সে সব খুলি বীরত্বের সঙ্গে ঘরের দরজায় ঝুলিয়ে রাখা হত। এখন তাঁরা বাঁদর মারেন নিয়ম করে। মেরে থাকেন শুয়োর, ভালুক, পাখি, বনবিড়াল, হরিণ। কিন্তু, রাজ্যের ইতিহাসে প্রথম বার বনের রাজা থুড়ি রানিকে হত্যা করে বীরত্বের উচ্ছাস যেন বাঁধ মানছিল না! এমন সময় বেরসিক বনরক্ষীর দল রয়্যাল বেঙ্গলের সেই দেহ নিয়ে যেতে হাজির!
বললেই হল! ঐতিহাসিক ঘটনা বলে কথা। মাথাটি সাজাতে হবে গ্রামের প্রবেশ পথে, চামড়া ছাড়িয়ে ঝোলানো হবে গাঁওবুড়োর ঘরে, দাঁত আর নখের লকেট গলায় পরবেন বাঘ-মারা বীরের দল। বাঘের মাংসে ভোজ বসবে গ্রামে। সেটাই তো দস্তুর! শেষ পর্যন্ত অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে গত কাল রাতে ডিমাপুরের মেদঝিফেমা গ্রাম থেকে বাঘিনীর দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ ও বন বিভাগ। নাগাল্যান্ডে এর আগে কখনও রয়্যাল বেঙ্গলের দেখা মেলেনি। তাই এমন ঘটনায় অবাক বন দফতর ও এনটিসিএ। আজ গুয়াহাটি থেকে এনটিসিএর দল ডিমাপুর যাচ্ছে।
উত্তর-পূর্বে অসম ও অরুণাচলে রয়্যাল বেঙ্গল পাওয়া যায়। আগে মিজোরামের ডাম্পাতে আগে বাঘ ছিল। এই প্রথম নাগাল্যান্ডে রয়্যাল বেঙ্গল মেলায় নড়েচড়ে বসেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাকে বাঁচাতে না পেরে সরকারি রিপোর্টে ঘটনাটি চাপা দিতে ব্যস্ত পুলিশ ও বনদফতর।