Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
National News

অন্ধকারে ঘুরছে কারা? বুঝতে পারছে না সেনা, অশনি সঙ্কেত সীমান্তে

অন্ধকারে বা কম দৃশ্যমানতায় জঙ্গিদের উপস্থিতি আঁচ করা যাচ্ছে না। জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখার আশেপাশে এখন এটাই অন্যতম বড় সমস্যা ভারতীয় সেনার সামনে। অন্ধকারে আশপাশের নানা গতিবিধি আঁচ করে নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে যে থার্মাল ইমেজার দেওয়া হয়, সেই থার্মাল ইমেজারগুলি নাকি ক্রমশ বিকল হওয়ার পথে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৭ ২০:১৩
Share: Save:

অন্ধকারে বা কম দৃশ্যমানতায় জঙ্গিদের উপস্থিতি আঁচ করা যাচ্ছে না। জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখার আশেপাশে এখন এটাই অন্যতম বড় সমস্যা ভারতীয় সেনার সামনে। অন্ধকারে আশপাশের নানা গতিবিধি আঁচ করে নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে যে থার্মাল ইমেজার দেওয়া হয়, সেই থার্মাল ইমেজারগুলি নাকি ক্রমশ বিকল হওয়ার পথে। খুব দ্রুত আরও উন্নত নাইট ভিশন ডিভাইসের ব্যবস্থা না করলে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়তে পারে জঙ্গি গতিবিধি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিয়ন্ত্রণ রেখায় কর্মরত সেনা জওয়ানদের হাতে হ্যান্ড হেল্ড থার্মাল ইমেজার (এইচএইচটিআই) নামে একটি যন্ত্র দেওয়া হয়। মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর শরীর থেকে সব সময় যে তাপ বিকিরণ হয়, ইমেজারের সেন্সরে সেই তাপ ধরা পড়ে এবং এইচএইচটিআই-এর মনিটরে স্পষ্ট অবয়ব ফুটে ওঠে।

আরও পড়ুন: নিজেদের পুরনো ঘাঁটিতেই পর্যটনকেন্দ্র গড়ছে গারো জঙ্গিরা

জওয়ানরা যেখানে টহল দিচ্ছেন, তার আশেপাশে কোনও প্রাণী চলাফেরা করছে, নাকি কোনও মানুষ ঘোরাঘুরি করছে, আলো না জ্বালিয়েও তা স্পষ্ট বোঝা যায়। এই যন্ত্রগুলির ব্যাটারিতে এক বার চার্জ দেওয়া হলে তা তিন ঘণ্টা থেকে চার ঘণ্টা চলে। কিন্তু ভারতীয় বাহিনীর হাতে থাকা এই থার্মাল ইমেজারগুলোর ব্যাটারি এখন এত দুর্বল হয়ে গিয়েছে যে সেগুলি নাকি ২০ মিনিটের বেশি চলছে না। অতিরিক্ত ব্যবহারের জেরে ব্যাটারির এই অবস্থা হয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর। সম্প্রতি আর্মি ডিজাইন ব্যুরো (এডিবি) নাকি নিজেদের একটি রিপোর্টে এ কথা লিখেছে। একটি ইংরেজি দৈনিক সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।

জওয়ানদের যে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে বাহিনীর সর্বোচ্চ মহলও। (প্রতীকী ছবি / সংগৃহীত)

নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে জঙ্গিরা সাধারণত রাতেই অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। আবহাওয়ার দুর্যোগে দৃশ্যমানতা কমে যায় যখন, তখনও জঙ্গিরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় থার্মাল ইমেজারই সেনার সবচেয়ে বড় ভরসা। কিন্তু সেই যন্ত্রগুলি যে ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাতে বাহিনী চিন্তায় বলে খবর। আর্মি ডিজাইন ব্যুরোর মাথায় এখন রয়েছেন ভারতীয় সেনার উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুব্রত সাহা। এত উচ্চপদস্থ সেনাকর্তার অধীনস্থ বিভাগ যখন থার্মাল ইমেজারের অভাব মেটানোর উপর জোর দিয়েছে, তখন বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর পর্যায়ে গিয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। খুব দ্রুত উন্নত মানের নাইট ভিশন ডিভাইসের ব্যবস্থা হবে বলেও সেনা সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE