Advertisement
২৭ মার্চ ২০২৩
winter session of parliament

রাজধানীতে ভোটগণনার আবহেই বুধবার শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, শেষ ২৯-এ

সংসদের শীতকালীন অধিবেশন সাধারণত শুরু হয় নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে। ডিসেম্বরে বড়দিনের আগে তা শেষ করা হয়। এ বার মোদী-শাহর রাজ্যে ভোটের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন।

বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:৫২
Share: Save:

সবগুলি বুথফেরত সমীক্ষার ফলই বলছে, দিল্লির পুরভোটে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টির কাছে হারতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি। আর দেশের রাজধানীর শহরে ভোটগণনার মধ্যেই বুধবার সকালে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। চলবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

Advertisement

বুধবারের পুরভোটের গণনার পর দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাতের বিধানসভা ভোটের গণনা। সেই সঙ্গে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার রাজ্য হিমাচলেরও। সব ক’টি বুথফেরত সমীক্ষায় গুজরাতে বিজেপিকে অনেকটা এগিয়ে রাখা হলেও হিমাচলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে কয়েকটি আসনে। দেশের রাজধানী শহরের পর হিমাচল হাতছাড়া হলে সরকারের উপর বিরোধীদের চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিরোধী শিবিরের তরফে অবশ্য ইতিমধ্যেই অভিযোগ তোলা হয়েছে, গুজরাতের ভোটের জন্য সংসদের শীতকালীন অধিবেশন পিছিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কারণ মোদী-শাহ-সহ বিজেপির প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীরা গুজরাতের প্রচারেই ব্যস্ত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে অধিবেশনে। পাশাপাশি, পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন অংশে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনার উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলতে পারে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা।

সাধারণত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয় নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে। ডিসেম্বরে বড়দিনের ঠিক আগেই তা শেষ করা হয়। গত বছর যেমন ২৯ নভেম্বর থেকে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছিল। শেষ হয়েছিল ২৩ ডিসেম্বর। শুধু পিছিয়ে দেওয়াই নয়, মোদী-শাহের রাজ্যে ভোটের কারণেই এ বার অধিবেশনের সময়সীমাও সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হল বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, কেন খ্রিস্টানদের উৎসব বড়দিনের মরসুমে অধিবেশনের দিন রাখা হল, সে প্রশ্নও উঠেছে।

Advertisement

অধিবেশন শুরুর আগে প্রথা মেনে মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বিভিন্ন দলের সাংসদদের নিয়ে বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, এ বারের মোট ১৬টি বিল পাশ করানোর চেষ্টা করবে মোদী সরকার। যার মধ্যে অন্যতম, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল, একাধিক রাজ্যে সক্রিয় সমবায় সমিতিগুলির নির্বাচন সংস্কার সংক্রান্ত বিল এবং জাতীয় ডেন্টাল কমিশন গঠন সংক্রান্ত বিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.