কেটে গিয়েছে তিন দিন। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠেছে বার বার। চাপের মুখে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসলেও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে সমালোচনা কমেনি। অবশেষে এ বার চাপের মধ্যেই নিহত পুলিশ ইনস্পেক্টর সুবোধকুমার সিংহের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন যোগী।
বৃহস্পতিবার লখনউয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন নিহত পুলিশ ইনস্পেক্টরের স্ত্রী। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই ছেলে এবং সুবোধকুমারের বোন। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, এ দিনও সুবোধের বোন ফের অভিযোগ করেন দাদরি-কাণ্ডের তদন্ত করেছিলেন বলেই তাঁর দাদা ইনস্পেক্টর সুবোধকুমার সিংহকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা করেছে।
গত সোমবার সকালে বুলন্দশহরে ২৫টি গবাদি পশুর দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। গোহত্যার গুজব ছড়িয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি পথে নামলে ছড়ায় হিংসা। খুন হন পুলিশ ইনস্পেক্টর সুবোধকুমার সিংহ এবং যুবক সুমিতকুমার সিংহ। এই ঘটনায় গোহত্যা এবং হিংসার ঘটনা নিয়ে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হিংসার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠেছে বজরং দলের নেতা যোগেশ রাজের। যদিও যোগেশ সোমবার থেকে ফেরার। ইতিমধ্যেই তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে বজরং দল। যদিও দলীয় নেতৃত্বের বিশ্বাস, তিনি নির্দোষ।